খেলাধুলা

ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটাররা

খেলাধুলা: ক্রিকেট সম্ভবত এমনই! শেষ বল পর্যন্ত থাকবে টান টান উত্তেজনায়। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলাটি শেষ বল কেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও নিশ্চিত হয়নি কে জিততে পারবে! অবশেষে শেষ বলে যখন জাহানারা এবং সালমা দু’বারের জন্য জায়গা পরিবর্তন সফলভাবে করতে সক্ষম হলো, তখনই বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠলো পুরো বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভাল মাঠ থেকেই বিজয়ের ঢেউ ছড়িয়ে পড়লো পুরো বাংলাদেশের প্রতিটি শহর, থেকে গ্রামে।

অবিশ্বাস্য সাফল্যে উদ্ভাসিত বাংলাদেশ। মেয়েদের নৈপুণ্যে কুয়ালালামপুরে উড়ছে লাল-সবুজ পতাকা। অথচ হতোদ্যম একটা দল নিয়েই মালয়েশিয়ার রাজধানীতে পা রেখেছিলেন সালমা খাতুন এবং তার সতীর্থরা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টানা আট ম্যাচ হেরে দেশে ফেরা। এশিয়া কাপের শুরুটাও হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে। কিন্তু শেষটা অসাধারণ অর্জনে সমৃদ্ধ।

ভারতের বিপক্ষে লিগ পর্বের জয় ফাইনালে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল  সালমাদের। সেই ম্যাচে ১৪২ রান তাড়া করে সাত উইকেটে জয়ের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশ অধিনায়কের মন্তব্য, ‘ওই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল,  ফাইনালে জিততে অনুপ্রাণিত করেছিল। আজ সাফল্যের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম আমরা। আমাদের হারানোর কিছু ছিল না, কিন্তু ওদের হারানোর অনেক কিছু ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা অনেক কিছু পেয়েছি।’

মালয়েশিয়ায় কয়েক লাখ বাংলাদেশির বসবাস। তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন পুরো টুর্নামেন্টে অনুপ্রাণিত করেছে মেয়েদের। ফাইনালে ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ চিৎকার করে দলকে উজ্জীবিত করেছেন প্রবাসীরা। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর কেউ কেউ তো আবেগ সামলাতে পারেননি, ঢুকে পড়েছেন মাঠের ভেতরে, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজয়ী ক্রিকেটারদের। প্রবাসীদের এমন ভালোবাসায় সালমা আবেগাপ্লুত, ‘মাঠে সাপোর্টাররা এল অনেক ভালো লাগে, তাদের উৎসাহ আমাদের ভালো খেলতে সাহায্য করে। আজকে মাঠে আমাদের অনেক সাপোর্টার ছিল। যারা কষ্ট করে আমাদের খেলা দেখতে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ।’

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button