বগুড়ার ইতিহাস

বগুড়ার দই পৃথিবী বিখ্যাত

(বগুড়া লাইভ) : দই নিয়ে যে যতো কথাই বলুক না কেনো, আমাদের বগুড়ার দই এর কথা প্রথমেই বলতে হয়।

আমাদের বগুড়াতে পেট পুরে খাবার খাওয়ার পরে যে জিনিসটা না খেলে মনে হয় খাওয়া পরিপূর্ণ হয়নি সেটা আর কিছু না, আমাদের বগুড়ার দই।

আগে গ্রাম-গঞ্জে ফেরি করে কিছু লোক দই বিক্রি করতে আসতো। আমরা তাদের ঘোষ বলে সম্বোধন করতাম। এখন সেটি প্রায় বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আর সেই পুরোনো স্মৃতিটাকে জাগিয়ে তুলতে মনে পড়ে যায় আমাদের কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘দই ওয়ালা’ গল্পের কথা। যেখানে তিনি এই গ্রাম বাংলার দই বিক্রির কথাও তুলে ধরেছেন- ‘দই নিবেন গো দই ভালো দই’ এই ভাবে।

শুধু কী তাই! সারা পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে বা আমাদের দেশের অন্য জেলা থেকে যেকেউ আমাদের এই বগুড়াতে একবার আসলে তিনি বগুড়ার দই একবার হলেও খেয়ে দেখেন এবং এই দইয়ের সুনাম করেন। আবার ফেরার পথে দুই-চারটি দই সঙ্গে নিয়েও যান।

আমাদের এই দই নিয়ে বিভিন্ন কথা সারা পৃথিবী ছড়িয়ে রয়েছে। ইতিহাস বা আমাদের বাপ-দাদার কাছ থেকে শোনা যায় যে প্রায় আড়াইশ’ বছর পূর্বে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘোষদের হাত ধরে এই বিশেষ দই এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বগুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও এই দই তৈরি হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় এ দইয়ের নাম বেশি না ছড়ালেও আস্তে আস্তে এ দই সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করেছে।

 

তাই সারা দেশের যেখানেই যাই না কেন বগুড়ার কথা বললে প্রথমে দই এর কথাই আসে। বগুড়ার দই খুবই বিখ্যাত।

এটা আমাদের গর্ব হামরা বগুড়ার ছোল।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button