নাগরিক সেবাবগুড়া সদর উপজেলা

বিডি ক্লিন বগুড়া’র সাথে যুক্ত হলো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রায় দুই বছর আগে ঢাকায় বিডি ক্লিন নামে একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ওই সংগঠন বাংলাদেশের ৪৮টি জেলায় ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। চলতি বছরের ২৯ জুন বগুড়ায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করে বিডি ক্লিন-বগুড়ার সদস্যরা। প্রথম দিন তারা শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে দুই নম্বর রেল গেট এলাকা পরিষ্কার করে। এরপর প্রত্যেক শুক্রবার সকালে সংগঠনটির সদস্যরা ধারবাাহিকভাবে সাতমাথা থেকে শেরপুর রোড, দুই নম্বর রেল গেট থেকে বড়গোলা, জলেশ্বরীতলা এলাকা এবং ফতেহ আলী রোড এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালায়।

শুক্রবার-সাপ্তাহিক ছুটির এই দিনটি যেন ‘বিডি ক্লিন- বগুড়া’র দিন। এদিনে শহরের সড়ক এবং ফুটপাত সাফাইয়ের কাজে নামে ওই সংগঠনের সদস্যরা। ৩ আগস্ট শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এদিন তারা সকাল ৯টা থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শহরের দত্তবাড়ি থেকে কালিতলা হাট মোড় পর্যন্ত সড়ক এবং ফুটপাত পরিষ্কার করে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বিডি ক্লিন-বগুড়ার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারক করেছেন। সঙ্গে থেকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ, বগুড়া জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ খান রনি এবং বগুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবিরাজ তরুণ কুমার চক্রবর্তী।

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার অংশগ্রহণে বিডি ক্লিন-বগুড়ার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যেন ভিন্ন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে। নতুন করে আরও অনেকেই এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং আগামীতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও দেখিয়েছেন। এবারের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশ গ্রহণ করে।

বিডি ক্লিন-বগুড়ার এই কার্যক্রমে অভিভূত হয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী পরিচ্ছন্ন বগুড়া গড়তে আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের জন্য তিনি ২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর কার্যালয়ে বিডি ক্লিন-বগুড়ার সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে বগুড়া পৌরসভা এবং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।বিডি ক্লিন-বগুড়ার মুখপাত্র আকবর আহমেদ জানান, ওই সভায় তাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং চেম্বার অব কমার্সকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

বিডি ক্লিন-বগুড়ার সদস্যদের চাহিদার প্রেক্ষিতে বগুড়া চেম্বার কর্তৃপক্ষ আবর্জনা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ঝুড়ি (অস্থায়ী ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহৃত হবে) সরবরাহ করতে সম্মত হয়। এছাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রতি শুক্রবার সকালে বিডি ক্লিন-বগুড়ার সদস্যদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলাকালে আবর্জনাবাহী ট্রাক সরবরাহের অঙ্গীকার করেন।

তথ্যসুত্র: পুন্ড্রকথা বিডি

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button