বগুড়ার ধুনটে পেঁচিবাড়ী গ্রামে বাঙালী নদীর পূর্ব তীরে বাঁধকাম সড়কে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে
ধুনটে বাঙালী নদীর বাঁধকাম সড়কে ভাঙন
বগুড়ার ধুনট উপজেলার পেঁচিবাড়ী গ্রামে বাঙালী নদীর পূর্ব তীরে বাঁধকাম সড়কের কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে পেঁচিবাড়ী-চকধলী গ্রামের পথচারী চলাচলে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জানান, গত ১৯৮৭ সালে সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প (ডিআইডিপি) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ি থেকে শেরপুর উপজেলার সাহেববাড়ী ঘাট পর্যন্ত বাঙালী নদীর পূর্ব তীরে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকাম সড়কটি নির্মান করে। বাঁধটি নির্মানের ফলে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি, মথুরাপুর, গোপালনগর এবং শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ পরিবার প্রতি বছর বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া বাঁধের ওপর দিয়ে প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে।
এদিকে, কয়েক দিনের ভারি বর্ষনে পেঁচিবাড়ী গ্রামের শ্বশান এলাকায় এবং গ্রামের শেষ সীমানায় বাঁধকাম সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। এরমধ্যে গ্রামের শেষ সীমানায় সিসি ব্লকসহ বাঁধের মাটি ধসে গেছে। এতে বাঁধটি সরু হয়ে যাওয়ায় উপর দিয়ে রিক্সা-ভ্যানসহ হালকা যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে মেরামত না করলে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনের কারনে পেঁচিবাড়ী গ্রামের শ্বশানটি নদীতে বিলীনের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
পথচারী চকধলী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁচিবাড়ী-চকধলীর মাঝামাঝি এলাকায় বাঁধের কিছু অংশ বর্তমানে বাঙ্গালী নদীর তীর হয়ে দাড়িয়ে আছে। যার কারনে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সেখানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। যার কারনে ওই পথে পায়ে হেটে বা মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যকোন পরিবহন নিয়ে চলাচল করা যায় না।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, বাঙ্গালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধকাম সড়কটিতে ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। ভাঙ্গনস্থান মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।