পরিবহন

গত ১০ বছর ধরে ফিটনেস নেই বগুড়ায় এমন যানবাহনের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারের বেশি

বগুড়ায় আড়াই হাজার ফিটনেসবিহীন যানবাহন

বেশ কয়েক বছর আগে বাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মেয়াদ পার হয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলনের পর সড়কে বাস চালাতে কাগজপত্র হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নেন মালিক। এর পর থেকেই অনেকেই বিভিন্ন যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন করে করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

সকাল ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়ে বেলা ২টায় তিনি নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার কাউন্টারে প্রবেশ করতে পারেন। মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেডের একটি মাত্র বগুড়া কালেকশন বুথে সব ধরনের ফি জমা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন খাতে ফি নেওয়ার বুথ মাত্র একটি। এ কারণে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকের লাইনে দাঁড়িয়ে দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে আবার পরের দিন আসতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

গত ১০ বছর ধরে ফিটনেস নেই বগুড়ায় এমন যানবাহনের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারের বেশি। আর এ তালিকায় শুধু ব্যক্তি মালিকানাধীনই নয়, সরকারি যানবাহনও রয়েছে।

এসবের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক। এ ধরনের প্রায় এক হাজার ১২৯টি যানের জন্য গত ১০ বছরেও কোনো ফিটনেস নেওয়া হয়নি। বগুড়া বিআরটিএ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৮৪টি বড় বাস, ২০৫টি মিনিবাস, ৩৪৬টি টেম্পু, ভাড়ায়চালিত ২৯টি মাইক্রোবাস, ১৭৯টি প্রাইভেট মাইক্রোবাস, ১৯৭টি মোটরকার, ১১৩টি জিপ, ৭৩টি অটোরিকশা, ১২৩টি ট্রাক্টর এবং সরকারি কয়েকটি মিনিবাসের ফিটনেস নেই।

ফিটনেসবিহীন এসব যান একদিকে যেমন দুর্ঘটনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিআরটিএ বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দীন জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ করতে মালিক-শ্রমিক সবাইকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগ কাজে না লাগালে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের তালিকা বিআরটিএ সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button