৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভবন পায়নি বিদ্যালয়
![](https://boguralive.com/wp-content/uploads/2018/08/psc20180825103731.jpg)
বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনিতে অবস্থিত প্রীতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার কোন নিজস্ব ভবন নেই। বিদ্যালয়টি সরকারীকরণের ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভবন পায়নি। নিজস্ব ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে চার ভাগের একভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। বিগত ৪ বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াইশ’ থেকে নেমে ৭২ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। ২`শ বর্গফুটের একটি ক্লাব ঘর ও বারান্দায় পাঠদানের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, শহরের লতিফপুরে প্রায় ৪৪ শতাংশ জায়গার উপর একটি পরিত্যক্ত ভবনে চলছিল প্রীতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। দেশ স্বাধীনের আগে এক অবাঙ্গালীর বসত বাড়ি ছিল এটি। ওই বাড়িতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙ্গালীদের নির্যাতন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর ওই বাড়ি ফেলে চলে যায় মালিক। এরপর একটি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা বাঙ্গালী-অবাঙ্গালীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে এবং অবাঙ্গালী ছেলে-মেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ভবনটি গণপূর্ত বিভাগ থেকে ভাড়া নিয়ে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করে ১৯৭৩ সালে। নামকরণ করা হয় প্রীতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে প্রীতি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করা হয়। এযাবৎ বিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিত্যক্ত সেই বাড়িতেই পরিচালিত হয়ে আসছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন বানু বলেন, ছোট একটি ক্লাবঘরে গাদাগাদি করে ৬ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বসতে হয়। সুষ্ঠু পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ সম্ভব।
বগুড়া সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বার বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ এ বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব কয়েকদিন আগে ফোন করে জানিয়েছেন তা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক কিছু বলা যাচ্ছে না।