বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেহাল দশা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে সহরাবাড়ী নৌঘাট পর্যন্ত সড়কের খানাখন্দের কারণে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়কে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার ভাণ্ডারবাড়ী ইউনিয়নের সহরাবাড়ী নৌঘাট থেকে ১০টি রুটে নৌকা চলাচল করে। প্রতিদিন বৈশাখী চর, রাধানগর চর, বোয়াইল চর, মাঝিড়া চর, কেষ্টার চর, ছোনপচা, নাটুয়ারপাড়া চর, ধারাবর্ষা চর, শংকরপুর ও যমুনা নদীর পূর্ব তীরে জামালপুরের যমুনা ফার্টিলাইজার সার কারখানায় যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌকা চলাচল করে।
এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য নেয়া হয় এ ঘাট দিয়ে। ধুনট সদর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ যমুনা নদীর তীরে বেড়াতে আসেন এ ঘাটে। যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ নতুন বাঁধ থেকে ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক। প্রতি বছর বন্যায় পাকা সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্তমানে ওই সড়কে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, যমুনা চর থেকে মরিচ কিনে ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু সড়কটির বেহাল অবস্থার জন্য ঘাট পর্যন্ত কোনো পরিবহন চলাচল করে না। ফলে দেড় কিলোমিটার সড়কে মরিচের বস্তা কয়েক দফায় মাথায় নিয়ে চলতে হয়েছে তাকে।
বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য সহরাবাড়ী ঘাটের ইজারাদার আবেদন করেছেন। সড়ক মেরামতের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।