বগুড়ার কাহালুতে কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা : : স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী
দায় অস্বীকার করছে কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটার
বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায়শই তালাবদ্ধ অবস্থাতেই দেখা যায়। এতে করে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ঐ এলাকার মানুষ সহ অন্যান্য জনসাধারন।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কাহালু উপজেলার নিশ্চিন্তপুর কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ। চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে অনেকেই।
নিশ্চিন্তপুর সোনারপাড়া গ্রামের আব্দুল আলিম, আইনুল সহ অন্যান্যরা জানান, “শনিবার সকাল থেকেই কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, অন্যান্য দিন সকাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা থাকলেও বেলা ১ টার আগেই বন্ধ করে চলে যান কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটার মোস্তাফিজুর রহমান (রাজু)।”
স্থানীয় পাগলাপীর মাজার ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম জানান, দুপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধের পর অনেক রোগী এখানে এসে বসে থেকে, কোন সুবিধা না পেয়ে চলে যান।
এছাড়াও ঐ গ্রামের অন্যান্যরা অভিযোগ করে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ঔষধ নিতে আসলে প্রত্যেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঔষধ দেওয়া হয়। তবে মোস্তাফিজুর রহমান (রাজু) এর সাথে কথা বলা হলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, জনবলের অভাবে সে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ করে মাসিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইছাহাক আলীর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইটার মোস্তাফিজুর রহমান অফিসে এসে ছিলেন তবে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ বিষয়ে তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, “কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোপাইটার মোস্তাফিজুর রহমান মাসিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন। তবে নিশ্চিন্তপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে জনবল কম থাকায় সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে, তবে কেউ যদি টাকা নিয়ে ঔষধ দেয় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে এবং সঠিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় জনসাধারন সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।