সারিয়াকান্দি উপজেলা
সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে পাট কাটা আর ধোয়ার কাজ শেষের পথে
পুর্ব বগুড়ায় যমুনা নদীর তীরঘেষা সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে পাট কাটা আর ধোয়ার কাজ ইতোমধ্যে শেষের পথে। সারিয়াকান্দি বাজারে পাট বিক্রয় করতে আসা বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিরা সম্ভাবনার প্রতিভা শেষে পাটের ভালো দাম পেয়ে অনেক সন্তুষ্ট।
সারিয়াকান্দি উপজেলার অর্থকরী ফসলের মধ্যে লার মরিচের পরেই পাটের স্থান। সোনালী আঁশ নামে খ্যাত বাংলাদেশের এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট। বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো একসময়। পাটের মৌসুম এলেই বিশেষ করে বর্ষার শুরুতে চাষিদের মুখে ফুটে উঠতো আনন্দের ঢেউ। আর বর্ষা মৌসুমে জমিতে রোপা লাগার কাজ শেষ করার পর বসে থাকা দিনগুলিতে কৃষাণ-কৃষাণীরা ঘরে ঘরে পাট দিয়ে তৈরি করতো দড়ি, রঙিন চট, মাদুর, নকশি শিকা ও ব্যাগ। এছাড়াও মেশিনের সাহায্যে তৈরি হতো পাটের বস্তা, কম্বলসহ নানা জিনিসপত্র। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ এসব শুধুই স্মৃতি হয়ে রয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায়।
সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৭হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জন হয় ৬হাজার হেক্টর।
উপজেলার পাটাচাষীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে বীজ, নিড়ানি, হালচাষ, পাট কাটা ও ধোয়া বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। পাটের ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মন। বর্তমান বাজারে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৮শ থেকে ২হাজার টাকা দরে। আর পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে খুব সহজে ব্যবহার করা যায় এবং চাষিরা প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাটকাঠি বিক্রি করে অর্থ আয় করেন। এতেকরে চলতি মৌসুমে ভালই লাভের মুখ দেখছেন সারিয়াকান্দির পাট চাষীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলা মাটি পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া এবারে পাট চাষের সময় আবাহাওয়া খারাপ থাকায় অনেক পাটের সমস্যা হয়, যার দরুন লক্ষ্যমাত্রায় সামান্য কমতি হয়। তবে দাম ভালো থাকায় আবারো পাটের সুদিন ফিরবে বলে মনেকরছি আমি। মর্যাদা পাবে পাট চাষ। এ বছর ৬হাজার হেক্টর জমিতে দেশী এবং তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছিলো, আগামীতে পাট চাষ আরও বারতে পারে।