বগুড়া’র ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়া জিলা স্কুল
১৮৬৫ সাল থেকে এটি বগুড়া জিলা স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়। সরকারি স্কুলে পরিণত হওয়ার আগে স্কুলটির পটভূমি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। বগুড়ার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর মি. রাসেল ও ডেপুটি কালেক্টর এস. মুখার্জির প্রচেষ্টায় স্কুলটি সরকারিকরণ করা হলে ভগবতী চরণ ঘোষ এর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় স্কুলটিতে মাত্র চারজন শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তী প্রধান শিক্ষক এ.সি মুখার্জির সময়ে স্কুলের সফল ছাত্রদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে বই দেবার রীতি চালু হয়। এ উপলক্ষে শহরে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হতো।
ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগে ১৮৮১ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে স্কুল ভবনটি পাকা করা হয়। বর্তমানে এ স্কুলটিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত দুই শিফটে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হয়। একজন প্রধান শিক্ষক ও দুজন সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলে বর্তমানে মোট ৫৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য রয়েছে ৩টি একাডেমিক ভবন। এছাড়া রয়েছে একটি মসজিদ, ‘আমিনুল হক দুলাল’ নামে একটি অডিটোরিয়াম এবং একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।
বগুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র যারা কর্মজীবনে যশস্বী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ভাষা সৈনিক গাজীউল হক, সার্কের মহাসচিব কিউ.এ.এম.এ রহিম, কথা সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হুমায়ন আহমেদ ও বিজ্ঞান বিষয় লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবাল অন্যতম। [এ.কে.এম তারিকুল আলম]