নন্দীগ্রাম উপজেলা
নন্দীগ্রামে মাল্টা চাষ করে কৃষকের ব্যাপক সফলতা
ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি রসালো ফল হচ্ছে মাল্টা। ফলটি এক সময় বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে চাষ হলেও এখন আর পাহাড়ে সীমাবদ্ধ নেই। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। পিছিয়ে নেই আমাদের বগুড়াও। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের টাকুরাই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
মাল্টা ভালো লাগে না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। মাল্টা চাষের সাফল্যে রঙিন কৃষকের মন। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে ফিকে সবুজ বর্ণের এসব লোভনীয় মাল্টা। ১৭ মাসেই পান সফলতা। আর এতেই তিনি নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটি অনেক উর্বর এর করণে মাল্টা চাষের উজ্জল সম্ভবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন। আবু বক্কর সিদ্দিকের বাগানে মাল্টায় নেই কোনো ফরমালিন, নেই কোন ঝুঁকি। তাই এই উপজেলায় মাল্টাও হতে পারে অধিক জনপ্রিয়।
মাল্টা চাষি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মাটি চাষ উপযোগী ও লাভজনক হওয়ার কারণে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। আর এ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে কৃষি বিভাগ। মাল্টা বাগানে ফল ধরেছে। ২০১৭ সালে নিজ গ্রামে ৫৪ শতক জমির উপর গড়ে তোলেন মাল্টা বাগান। এটাই এই উপজেলার সর্বপ্রথম মাল্টার বাগান বলে তার দাবি।
তার বাগানে পাকিস্থানী জাতের ২৩৫ টি মাল্টা গাছ লাগানো হয়েছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে ২৩০ টি থাই পিয়ারা, ২২০ টি থাই লেবু, ২০টি আম গাছ, ৫ টি কমলা, ১২০০ টি লিচু গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ। চারা রোপণের ১৭ মাসেই মাল্টা ধরা শুরু করেছে।
মাল্টার ২৩৫ টি গাছের মধ্যে ১৬টি গাছে ফল এসেছে। সেই সব গাছে ৫ থেকে ৫০ টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে, যা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা. মশিদুল হক বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিক একজন মডেল চাষি। মাল্টা চাষ করে সে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।’ মাল্টা চাষের এই সফলতা আগামীতে কৃষককে আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে এমনটাই আশা করি আমরা।
এটা আমাদের বগুড়ার গর্ব।