আলু ভাজি আমার প্রিয় একটা আইটেম তবে আজকাল আর তেমন একটা খাওয়া হয় না। আলু ভাজি হচ্ছে সকালের নাস্তায় রুটি দিয়ে খাবার একটা চরম জিনিষ। যাই হোক। কয়েকদিন আগে রাতে বাসায় ফিরতে বগুড়ার বড় গোল আলু দেখে কিনে নিয়ে আসি। ইচ্ছা ছিল, চিকন কাট করে আলু ভাজি খাব। সেই অনুসারে আজকের আমাদের এই আলু ভাজি। এর পূর্বে বেশ কয়েক প্রকারের আলুভাজি আপনাদের দেখিয়েছি। এটাও গতানুগাতিক সেই আলু ভাজির মতই।
তবে বলে নেই, আমাদের দেশের বগুড়াতেই মনে হচ্ছে নানা প্রকারের আলু পাওয়া যায়। সাধারণত ঢাকার বাজারে বগুড়া থেকে আসা বেশ কয়েক প্রকারের আলু পাওয়া যায়, আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে সব চেয়ে ছোট গুলো। এই ছোট লাল আলু গুলোর স্বাদ আমার কাছে সব চেয়ে বেশী মনে হয়েছে!
চলুন, হাতে সময় নেই, নুতন রান্নায় নেমে পড়তে হবে। চলুন দেখে ফেলি।
উপকরনঃ (আমরা অনুমান দেখিয়ে দিলাম এখন আপনিযে পরিমান বানাবেন সেই অনুসারে উপকরণ বাড়িয়ে কমিয়ে ব্যবহার করবেন)
– আলু, ৪০০ গ্রাম হতে পারে (চিকন কাট)
– পেঁয়াজ কুঁচি, মাঝারি দুইটা
– মরিচ গুড়া, দুই চিমটি
– হলুদ গুড়া, দুই চিমটি
– চিনি, এক চিমটি
– কাঁচা মরিচ, দুই/তিন টা
– লবন, হাফ চা চামচের কম (বুঝে)
– সয়াবিন তেল, ৬/৭ টেবিল চামচ কম বেশি
– পানি, সামান্য
প্রনালীঃ
ছবি ১, আলু কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, রঙ ভাল থাকবে, কালো হবে না।
ছবি ২, রান্নার আগে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
ছবি ৩, তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, লবন এবং মরিচ ভাঁজুন।
ছবি ৪, পেঁয়াজ নরম এবং হলদে হয়ে আসবে।
ছবি ৫, এবার মরিচ গুড়া ও হলুদ গুড়া দিন
ছবি ৬, ভাল করে ভেঁজে তেল উঠিয়ে নিন।
ছবি ৭, এবার আলু কুঁচি দিন।
ছবি ৮, ভাল করে মিশিয়ে নিন। সামান্য পানি দিন, এক চিমটি চিনি চিটিয়ে দিন।
ছবি ৯, আগুন একদম কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন মিনিট ১০/১৫।
ছবি ১০, নাড়িয়ে আবারো গোল করে রাখুন।
ছবি ১১, আলু সঠিক সিদ্ধ হল কি না দেখুন।
ছবি ১২, আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে ধনিয়া কুঁচি ছিটিয়ে দিন তবে এই সময়ে ফাইন্যাল লবন দেখুন। লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলে এগিয়ে চলুন।
ছবি ১৩, ব্যস।
ছবি ১৪, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
ছবি ১৫, রুটি বা পরোটার সাথে জমিয়ে টানুন।
- আলু কুঁচি করে কাটতে হবে এমন কথা নেই, আপনি যে সাইজে পারেন কাটেন। তবে আলু কাটের সাইজ বড় হলে পানি একটু বেশি দিতে হবে, এই যা, সিদ্ধ হতে।
- হলুদ না দিলেও চলবে!
সবাইকে শুভেচ্ছা।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন