মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদ জানালেন : চেয়ারম্যান মহরম আলী
জনৈকা মেহেরুন নেছার মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে তার বক্তব্য
বগুড়া লাইভ: বগুড়ার আকবরিয়া মিষ্টিমেলা রেস্টুরেন্টে বগুড়ার ১নং ফাঁপোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মহররম আলীর বিরুদ্ধে মেহেরুন নেছা নামের মহিলার মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “বগুড়া পৌরসভাধীন সুত্রাপুর মৌজার (পিটিআই লেন, জলেশ্বরীতলা) জেএল নং ৮২, খতিয়ান নং ৭৫৭৩, ডিপি খতিয়ান নং ২১৯৭, দাগ নং সাবেক ২৩৯৭, ২৩৯৮ হালে ৭৬০৬ এর বাটা দাগ ৭৭০৭, জমির পরিমান ০২৩২ সহস্রাংশ। প্রায় ৮ বছর পূর্বে জনৈক মোয়াজ্জেম হোসেনের নিকট থেকে টিনশেড বাড়ীসহ উক্ত জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছি। যা আমার নিজ নামে মাঠ রেকর্ড ও খারিজকৃত। বর্তমানে বগুড়া পৌরসভা থেকে নকসা অনুমোদন করে বিল্ডিং বাড়ী নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য টিনশেড বাড়ীটি ভাংতে গেলে প্রতিবেশী কামরুজ্জামান ছুনু, পিতা- মৃত সমছ উদ্দিন আকন্দ ও সিরাজ উদ্দিন নিন্টু (মেজদা), পিতা: মৃত নিয়াজ উদ্দিন, উভয়ের সাং পিটিআই লেন, জলেশ্বরীতলা, বগুড়াসহ আরও ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বাধা প্রদান করে এবং মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আমি গত ২২/০৯/২০১৮ইং তারিখে বিষয়টি লিখিত ভাবে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমাকে এবং অভিযুক্তদের থানায় পরপর দুইবার ডেকে পাঠায়। আমি উপস্থিত হলেও অভিযুক্তরা কেউ উপস্থিত হননি। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আমাকে তাদের বাড়ীতে মীমাংসার জন্য ডাকলে আমি উপস্থিত হই। তারা আমাকে জানায় যে, তারা বিল্ডিং বাড়ী করলে আমার নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন বাড়ীর সিঁড়ি, লিফট্ এবং সেফটি ট্যাংকি অভিযুক্ত কামরুজ্জামান ছুনুর পরিবারকে ব্যবহার করতে দিতে হবে। সে সুবিধা রেখে বাড়ী নির্মাণ করতে হবে। অথচ তাদের জমির দাগ এবং নকসা আলাদা। উক্ত দাবী না মানলে তারা আমাকে বাড়ী নির্মাণ করতে দিবেনা বলে হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি মৌখিক ভাবে সদর থানায় অবহিত করি। এরপর গত ৬ অক্টোবর’১৮ ইং তারিখে আমার টিনশেড বাড়ীটি ভেঙ্গে ফেলি। অথচ বাড়ীর দেয়ালের উত্তর পার্শ্বে আমার নিজ আড়াই ফুট জায়গা আছে। তারপর কামরুজ্জামান ছুনুর বাড়ীর সীমানা। তাদের দাবী শুধু অনৈতিকই নয়; আইনবিরোধীও বটে।”
তিনি আরোও বলেন, “আমার নিজস্ব জায়গায় বাড়ী নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে আমার টিনশেড বাড়ী ভেঙ্গে ফেলেছি। অথচ আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার হীন উদ্দেশ্যে ও সুনাম খুন্ন করার জন্য উক্ত কামরুজ্জামান ছুনু ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত তথ্য দিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদের বিভ্রান্ত করেছে। ৮ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিকভাবে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার ইমেজ মারাত্মকভাবে খুন্ন করা হয়েছে।”
তার এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে সঠিক তথ্য পরিবেশনের জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ করেছেন।