ধুনট উপজেলা

বগুড়ায় মাল্টা চাষে আল-আমিন সহ অনেকে পেয়েছেন সফলতা

বগুড়ায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাল্টা চাষ। অল্প খরচে বেশি লাভের কারণে শিক্ষিত তরুণরাও ঝুকে পড়েছেন লাভজনক মাল্টা চাষে।
শিক্ষিত তরুণ আল-আমিন। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে মাষ্টার্স পাশ করে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের আব্দুল বারী মাষ্টারের ছেলে। মেধাবী এই তরুণের ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি কাজের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক।
 
পড়াশোনার ফাঁকে বৃদ্ধ বাবার সাথে ছুটে যেতেন ক্ষেতে। তার বাবাও একজন সফল চাষী। কৃষি কাজে সাফল্যের জন্য একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছেন। ধান, পাটসহ সাধারণ কৃষি পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বাউকুল, স্ট্রবেরি, থাই পেয়ারা চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন আল-আমিন। এসব ফসল উৎপাদনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একাধিকবার কৃষি পদক পেয়েছেন।
 
আল-আমিন বলেন, মালটা চাষের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কৃষি অফিস থেকে পেয়েছি। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত তাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, মালটা চাষ অন্য যেকোন ফসলের চেয়ে সহজ। যেকোন ধরনের মাটিতেই মালটা চাষ করা সম্ভব। ৮-১০ ফুট দূরত্বে চারাগাছ রোপণ করতে হয়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই মালটা চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। চারার দামও কম। মাত্র ৫০-৬০ টাকায় চারা পাওয়া যাচ্ছে।
 
প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে গাছে ফুল আসে। সাধারনত ৩ বছর বয়সে মালটা গাছে ফুল এবং ফল ধরার কথা। কিন্তু আল-আমিনের বাগানের বেশ কিছু গাছে দুই বছরেই ফুল এবং ফল ধরেছে। ফলের আকার এবং রঙ বেশ সুন্দর। স্বাদও চমৎকার। আল-আমিনের এই সাফল্যে বগুড়ার মাটিতে মালটা চাষে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
 
আল-আমিন নিজেও চারা বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যেই তার বাগানের সবগুলো গাছের ডালে কলম করে চারা তৈরি করেছেন। অনেকেই তার কাছ থেকে চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ফরমালিনমুক্ত মালটা উৎপাদনে তিনিসহ বগুড়ার চাষীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button