প্রয়োজনীয় তথ্য

যে ১০ টি খাবার খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে

দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর পরিমান।

দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর পরিমান। গত কিছুদিন ধরে একটা রোগ আমাকে ভাবিয়ে তুলছে তা হলো দিন দিন রক্তশূন্যতা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। মানে রক্তে হিমোগ্লোবিন কম এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ব্লাড নিয়ে অন-লাইন বা অফ-লাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার মোটামুটি দীর্যদিনের। কিন্তু কখন ও এইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় নি। গত দুইমাসে প্রায় ২২-২৫ টি ব্লাডের রিকুয়েস্ট পাইছি যেগুলো শুধুমাত্র রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগী।

ইন্টারনেট ঘেটে-ঘুটে জানতে পারলাম,
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৩০% মানুষ এই সম্যসায় ভুগতেছে। যদিও আমাদের দেশে এর পরিমাণ ৫-৬% তবুও এইটা একেবারেই কম না!
আর এ থেকে বাঁচার উপায় হলো হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এমন কিছু খাবার খাওয়া।

ইন্টারনেট থেকে কিছু খাবারের নাম সংগ্রহ করলাম যা নিয়মিতভাবে খেলে এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
এখানে এমন ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে।

১. মাংস রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দ্রুত বাড়াতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রাণিজ প্রোটিন। সকল ধরনের লাল মাংস; যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং কলিজা আয়রনের সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর একটি। আয়রন হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য জরুরি। মুরগির মাংস লাল মাংস না হলেও তাও দেহকে বিশাল পরিমাণে আয়রন সরবরাহ করতে পারে।

২. ফল সবধরনের রসালো সাইট্রাস ফল, যেমন, আম, লেবু এবং কমলা ভিটামিন সি-র সবচেয়ে ভালো উৎস। আর দেহে আয়রন দ্রুত শুষে নেওয়ার জন্য ভিটামিন সি সবচেয়ে জরুরি। এর ফলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের গতিও বাড়ে। স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ, পেয়ারা এবং বেদানাতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে।

৩. সামুদ্রিক খাদ্য সামুদ্রিক খাদ্যে আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পুষ্টি উপাদান আছে প্রচুর পরিমাণে। সুতরাং অ্যানেমিয়া বা রক্তশুন্যতার রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অয়েস্টার, ক্লামস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর সামুদ্রিক খাদ্য রাখতে হবে।

৪. কলাই বা শুটিজাতীয় খাদ্য সয়াবিন, ছোলা এবং বিনজাতীয় খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। সয়াবিন বর্তমানে সবজিভোজীদের জনপ্রিয় একটি খাদ্য। এ থেকে সুস্বাদু সব খাবার তৈরি হয় এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় দ্রুতগতিতে।

৫. পুর্ণশস্যজাতীয় খাদ্য চাল, গম, বার্লি এবং ওটস রক্তশুন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য চমৎকার আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবার প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটসও সরবরাহ করে। লাল চাল বিশেষ করে সব বয়সীদের জন্যই আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস বলে গণ্য হয়।

৬. সবজি প্রতিদিন তাজা সবজি খেলে আয়রন ও অন্যান্য খনিজ পুষ্টি এবং নানা ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি মিটবে। আলু, ব্রকলি, টমেটো, কুমড়া এবং বিটরুট আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম। এছাড়া স্পিনাক সহ অন্যান্য সবজিও বেশ আয়রন সমৃদ্ধ।

৭. ডিম হলো আরেকটি জনপ্রিয় খাদ্য যাতে আছে উচ্চমাত্রার আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডিমের হলুদ কুসুমে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। আর এ কারণেই দুর্বল লোকদেরকে প্রতিদিন সেদ্ধ ডিম খেতে বলা হয়।

৮. শুকনো ফল কিসমিস, অ্যাপ্রিকট বা খুবানি এবং খেজুরে আছে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন এবং আঁশ। এসব খাবার খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বাড়ে দ্রুতগতিতে।

৯. বাদাম যে কোনো ধরনের বাদামই মানবদেহের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। যে কারণে তরুণদেরকে কাজু বাদাম, হিজলি বাদাম, চীনা বাদাম এবং আখরোট খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে দ্রুতগতিতে।

১০. ডার্ক চকোলেট শিশুদের প্রিয় খাবার ডার্ক চকোলেটেও থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর এ কারণেই এমনকি ডাক্তাররাও ডার্ক চকোলেট খেতে বলে।

এই সবগুলো খাদ্যই দেহে আয়রনের ঘাটতি মিটিয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দ্রুতগতিতে বাড়ায়। সুতরাং নিয়মিতভাবে এই খাবারগুলো খেয়ে দেহে রক্তের পরিমাণ, জীবনী শক্তি এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে থাকুন।

লিখেছেন বগুড়া লাইভের এডিটর অন্তর ফেরদৌস

জনসচেতায়-“পদক্ষেপ রক্তদান সংগঠন”(পরস)

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button