ধুনট উপজেলা
শীতের সবজি ফুলকপি চাষে ব্যাস্ত বগুড়া ধুনট উপজেলার কৃষক
শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। তাই এর চাহিদা যেমন বেশি, তেমনি এ সবজি চাষে মুনাফাও বেশি। তবে তা হতে হবে আগামজাতের ফুলকপি।
দেশের অধিকাংশ মানুষ পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য শাকসবজির ওপর নিভর্র করেন। তার মধ্যে ফুলকপি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর জনপ্রিয় সবজি। ফুলকপি চাষ করে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত ফুলকপি বাজারে বিক্রি করা যায়। তাই ফুলকপি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা বেশ লাভবানও হচ্ছেন।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৬৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আর ১৫/২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কৃষক।
উপজেলার বিলকাজুলী গ্রামের ফুলকপি চাষী শংকর প্রামাণিক জানান, ১৮ শতক জমিতে ৩ হাজার ৫০০ চারা গাছ রোপণ করেছেন। ক্ষেতের পরিচযার্ বাবদ এ পযর্ন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা। ফলন উঠতে তার আর ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি তার ক্ষেতের ৩ হাজার ফুলকপিও বিক্রি করা যায় তাহলে ১৫ টাকা পিস করে ৪৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবেন। এতে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো মুনাফা হবে।
ধুনট উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কমর্কতার্ আব্দুস সোবাহান বলেন, অল্প জমিতে ও অল্প খরচে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ফুলকপির চাষ করে বেশ লাভবান হওয়া যায়। তবে ভালো ফলনের জন্য আন্যান্য সবজির তুলনায় ফুলকপি আবাদে চাষিকে একটু বেশি যত্ন নিতে হয়।