বগুড়ার ইতিহাস

মহাস্থানগড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বেরিয়ে এলো প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল বগুড়া মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটে জাহাজঘাট এলাকায় প্রথম খননকালে অন্যান্য মৌলিক পদার্থের পাশাপাশি মৌর্য, গুপ্ত ও পাল রাজবংশের কিছু উত্তর ব্ল্যাক পালিশ ওয়েয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে। দলটি কিছু লোহা বস্তু, প্রাচীন রিং ওয়েল, এবং পাল যুগের টেরাকোটা বল খনন করেছে। বোয়েরাগীর ভীতাতে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা একটি ক্ষতিগ্রস্ত ইটের প্রাচীর খুঁজে পেয়েছেন যা তারা বিশ্বাস করে যে এটি একটি হিন্দু মন্দিরের অংশ এবং পাল বংশের অন্তর্গত।

খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকে শুরু করে মুসলিম শাসনামলের সমৃদ্ধ প্রত্নসামগ্রীও পাওয়া গেছে এবারের খননে। এখানে প্রাপ্ত প্রত্নসামগ্রী নিশ্চিত করেছে মহাস্থানগড় প্রাচীন যুগেও ঐতিহ্য, সংস্কৃতিতে ছিল সমৃদ্ধ। প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরী ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান মহাস্থান গড়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খননকালে এসব নিদর্শনের সন্ধান মেলে। গত ১৫ মে থেকে এই খনন শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ জুন। মহাস্থানগড় ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় খনন করা হয়েছে। এসব খননে বেরিয়ে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রত্ননিদর্শন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকার যৌথভাবে খননকাজ পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নেও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খনন পরিচালনা করছে। এবারও গড়ের জাহাজঘাটা ও বৈরাগীর ভিটার তিনটি স্থানে নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হয়েছে খনন।

বৈরাগীর ভিটায় গত বছর খননের পর প্রায় ১ হাজার ৩০০ বছর আগে নির্মিত তিনটি বৌদ্ধমন্দিরের নিদর্শন মিলেছে। এবারও এখানে ওই মন্দিরগুলোর পূর্ণ অবয়ব নিশ্চিত করতে খননের পাশাপাশি চলছে সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা এবারের ফিল্ড ডাইরেক্টর হেসাবে খনন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। খননকাজের দুই ভাগের নেতৃত্বে ছিলেন দুই দলনেতা। এর মধ্যে বৈরাগীর ভিটায় দলনেতা ছিলেন মহাস্থান জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান এবং জাহাজঘাটার দলনেতার দায়িত্বে পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টডিয়ানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সাদেকুজ্জামান। জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান সহকারী পরিচালক মাজিবুর রহমান বলেন “আমরা মহাস্থানগড়ের আরও ইতিহাস প্রকাশের জন্য প্রথম সময় জাহাজঘাট এলাকা খনন করছি, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান” এটি । এবং পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টডিয়ানের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সাদেকুজ্জামান আমদের জানান “আমরা অনেক ইট, পোশেরড এবং মৃৎশিল্প খুঁজে পেয়েছি যা পুন্ড্রনগরের শেষ সভ্যতা ব্যবহার করেছিল “আমরা অনেক ইট, পোশেরড এবং মৃৎশিল্প খুঁজে পেয়েছি যা পুন্ড্রনগরের শেষ সভ্যতা ব্যবহার করেছিল

লিখেছেনঃ রাকিবুল ইসলাম ফারাবী  

 

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button