বগুড়া সদর উপজেলা

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ফুল

ভালোবাসা আর সুন্দরের প্রতীক হল ফুল

বগুড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ফুল

ভালোবাসা আর সুন্দরের প্রতীক ফুলের ব্যবহার দিন দিন যেমন বাড়ছে, তেমনিবাড়ছে এর চাষও। বগুড়ায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ফুলের। এতে লাভবানহচ্ছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

বগুড়ার কৃষিতে নতুন সংযোজন ফুল। ফুল চাষ করে কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায়জেলার অধিকাংশ কৃষক অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষকরছেন।ভালোবাসা আর সুন্দরের প্রতীক ফুলের ব্যবহার দিন দিন যেমন বাড়ছে, তেমনিবাড়ছে এর চাষও।ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এই ফুল এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছেজেলার সোনাতলা উপজেলার কামারপাড়া, চামুরপাড়া, সুজায়েতপুর, রাখালগাছি, বড়বালুয়া গ্রামে।

চাহিদা বাড়ায় ফুল চাষবাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এখন মাঠ জুড়ে চোখে পড়ে রঙ বেরঙের নানা প্রজাতির ফুল ।

চাষিরা বলছেন, বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ ও গৃহসজ্জায় ফুলঅতুলনীয়। আর বাজারে ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা। বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় এখন গোলাপ ও রজনীগন্ধাসহ অন্যান্য ফুলেরওআবাদ হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বগুড়া সদরের মহাস্থানগড় এলাকায় প্রথমে বাণিজ্যিকভাবে ফুলেরচাষ শুরু হয়। সে সময় উত্পাদিত ফুল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিক্রিকরা হতো। নব্বইয়ের দশকে বগুড়া শহরের খোকন পার্কের সামনে স্থানীয় কিছুব্যবসায়ী গোলাপ ফুল বিক্রি শুরু করেন। বিভিন্ন উত্সবকে কেন্দ্র করে ওইফুলের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকে। পরে পৌরসভা থেকে ওই এলাকায় ১৭টি দোকানতৈরি করে দেয়া হয়। ফুল মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ীরা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন রকমেরফুল কেনাবেচা শুরু করেন। তখন ব্যবসায়ীরা যশোর থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বাসেকরে এনে বগুড়ায় ফুল বিক্রি করতেন। ২০০০ সালের দিকে ফুলের চাহিদা দ্বিগুণবেড়ে গেলে মহাস্থানগড়, শিবগঞ্জ, গাবতলী, সোনাতলা উপজেলায় গোলাপ ও গাঁদাফুলের চাষ শুরু হয়। স্থানীয় ফুল পরিবহনে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায়ব্যবসায়ীরা বগুড়ায় চাষ করা ফুল বিক্রি শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ফুলচাষীরাগোলাপ, গাঁদা, ভুট্টা, গ্ল্যাডিয়া, রজনীগন্ধা দেশী ও হাইব্রিড, কামিনী ফুলসঙ্গে ব্যবহূত বিভিন্ন ধরনের পাতারও চাষ শুরু করেন। ফুল চাষ করে নিজেদেরভাগ্য পরিবর্তন করেছেন বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শতাধিক যুবক। যুবকদের এখনপ্রধান পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফুল চাষ। কৃষিকাজের সঙ্গে ফুল চাষ করে অনেকেইএখন সচ্ছল।

বগুড়া শহরের ফুল মার্কেটের ফুল বিক্রেতা মখলেছুর রহমান বাটু জানান, সোনাতলা উপজেলায় যে ফুল চাষ হয়, তা বিক্রি করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আগেযশোর থেকে ফুল নিয়ে আসতে হতো। তখন খরচ পড়ত বেশি। এখন বগুড়ায় যে ফুল পাওয়াযায়, সে ফুল বিক্রি করে লাভ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

বগুড়ার কৃষি অফিস এর এক কর্মকর্তা বলেন, বগুড়ার মাটি ও আবহাওয়া ফুলচাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ফুলের আবাদ সম্প্রসারণে তারা নানামুখী উদ্যোগগ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণের পক্ষ থেকে এই ফুল চাষিদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরণের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি এবং দিয়ে যাচ্ছি।’

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার এক কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় ফুলচাষীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কৃষি অফিস থেকে ফুলচাষীদেরবিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক বীজ রোপণের তিন মাসের মধ্যেই ফুলবিক্রি করতে পারেন। ফুল চাষে উত্পাদন খরচ কম, লাভ বেশি।

তিনি বলেন, উপজেলার পাঁচটি গ্রামে প্রচুর পরিমাণে ফুলের চাষ করা হয়। ওইপাঁচ গ্রামের দেখাদেখি অন্যান্য গ্রামের চাষীরাও এখন ফুল চাষে আগ্রহী হয়েউঠছেন।

 

  • রাকিবুল ইসলাম

 

 

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button