বিনোদন

মঞ্চস্থ হলো প্রত্ননাটক ‘মহাস্থান’

মহাস্থান নাটকে উঠে এসেছে বাঙালির জাতিসত্তার ইতিহাস

মঞ্চস্থ হলো প্রত্ননাটক ‘মহাস্থান’। গতকাল সন্ধ্যায় বগুড়ার মহাস্থানগড়ের ভাসুবিহারে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। নাটকটি লিখেছেন সেলিম মোজাহার এবং নির্দেশনায় লিয়াকত আলী লাকী। এতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তিন শতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী।

মহাস্থান নাটকে উঠে এসেছে বাঙালির জাতিসত্তার ইতিহাস। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন ইতিহাসের পরম্পরায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত সময়কে। এর ভেতরে থাকবে শিকারের যুগ, বৈদিক যুগ, আদিবাসী পর্ব। থাকবে রামায়ণের গীত, কালিদাসের কাব্য, চর্যাপদ, সুফিসামা, বৈষ্ণব পদাবলি, ব্রাহ্মসংগীত, লোকগান, ব্রতচারীদের গান, পঞ্চকবির গান। বাদ যাবে না ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ।

মহাস্থানগড়ে রয়েছে নানা সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান ছিল পরাক্রমশালী মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন শাসকদের প্রাদেশিক রাজধানী। পরে হিন্দু সামন্ত রাজারাও এ স্থানকে নিজেদের রাজ্যের রাজধানী করেন। মহাস্থান প্রত্ননাটকের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সময়ের শাসন-শোষণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই স্থান একসময় ধর্মীয় তীর্থস্থানে পরিণত হয়। নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক লিয়াকত আলী বলেন, এ নাটকে ইতিহাসকে শিল্পে রূপ দেওয়া হয়েছে। মহাস্থানের গৌরবোজ্জ্বল আখ্যানের ভেতর দিয়ে দেখানো হয়েছে সমগ্র বাংলার মহাস্থান হয়ে ওঠার গল্প। নাট্যকার সেলিম মোজাহার বলেন, ‘বাংলার প্রাচীনতম রাজধানী পুন্ড্রনগরের মহাস্থানকে কেন্দ্রভূমিতে রেখে গৌতম বুদ্ধের সময় থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কে এ আখ্যানে বলার চেষ্টা করেছি। বাঙ্গালা অঞ্চলের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক পট ও তার পরিবর্তনের ইতিহাসের ‘জানা ও জনপ্রিয়’ গল্পপ্রবাহ এ নাটকের আখ্যানভাগ।

আজ শনিবার একই স্থানে নাটকটির আরো একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। মহাস্থানগড়ের ভাসুবিহার থেকে নাটকটি শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা নাটকটি দেখতে যেতে পারবেন না কিংবা মঞ্চমুখে বসার আসন পাবেন না, তাদের জন্য লাইভের এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মহাস্থান নাটকে উঠে এসেছে বাঙালির জাতিসত্তার ইতিহাস। নাটকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের চিত্র, মহাস্থানগড়ের প্রাচীন ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে শিকারের যুগ, বৈদিক যুগ, আদিবাসী পর্ব। এ ছাড়া রামায়ণের গীত, কালিদাসের কাব্য, চর্যাপদ, সুফিসামা, বৈষ্ণব পদাবলি, ব্রাহ্মসঙ্গীত, লোকগান, ব্রতচারীদের গান, পঞ্চকবির গান স্থান পেয়েছে। বাদ যায়নি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও ভাষা আন্দোলন।
মহাস্থানগড়ে রয়েছে নানা সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান ছিল পরাক্রমশালী মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন শাসকদের প্রাদেশিক রাজধানী। পরে হিন্দু সামন্ত রাজারাও এ স্থানকে নিজেদের রাজ্যের রাজধানী করেন। মহাস্থান প্রত্ননাটকের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সময়ের শাসন-শোষণের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
নাটকটির নির্দেশক লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের জানান, এ নাটকে ইতিহাসকে শিল্পে রূপ দেয়া হয়েছে। মহাস্থানের গৌরবোজ্জ্বল আখ্যানের ভেতর দিয়ে দেখানো হয়েছে সমগ্র বাংলার মহাস্থান হয়ে ওঠার গল্প।
গতকাল নাটকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, নাট্যজন আবদুস সেলিম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: আলতাফ হোসেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার মো: আলী আশরাফ ভূইঞা বিপিএম প্রমুখ।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button