বগুড়া নন্দীগ্রামে কলেজছাত্রীকে প্রথমে ‘ধর্ষণ’ পর সেই মারধর
বগুড়া নন্দীগ্রামে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার না করায় এবার সেই কলেজছাত্রীকে মারধর করা হয়েছে। তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রী এ অভিযোগ আনেন।
সরকারি কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ওই ছাত্রী বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একই এলাকার জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এই সূত্র ধরে মোরশেদুল ২০১৭ সালে বগুড়া পর্যটন মোটেলে ডেকে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে ওই বছরের ৩১ আগস্ট শাজাহানপুর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
উক্ত ঘটনায় ‘ধর্ষকের’ গ্রেপ্তারের দাবিতে বগুড়া শহরের সাতমাথায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ নানা সংগঠন মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। এ প্রেক্ষাপটে চেয়ারম্যান তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের মাস তিনেক পর মোরশেদুল বারী মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে নির্যাতন শুরু করেন।
মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হলে বগুড়া নোটারি পাবলিকে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী ঘরসংসার করছি মর্মে আপসনামায় জোর করে স্বাক্ষর নেন। সেই আপসনামা মূলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওই বছরের ২৮ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর মোরশেদুল বারী তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।