নন্দীগ্রাম উপজেলা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস

নীতিমালা লঙ্ঘন করে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা জুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ।

নীতিমালা লঙ্ঘন করে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা জুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ। ফলে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমোদিত পেট্রলপাম্প ছাড়া পেট্রল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে পৌর শহরসহ গ্রাম এলাকার মোড়ে মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি বোতলে পেট্রলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি হচ্ছে।


জানা গেছে, পৌর এলাকার বাসষ্ট্যান্ড, ওমরপুর, শহরের শহীদ আকরাম সড়ক, বৈলঘরিয়া মোড়সহ উপজেলার রণবাঘা, কুন্দারহাট, বিজরুল, সিমলা, পন্ডিতপুকুর, হাটকড়ই, ধুন্দারসহ বিভিন্ন বাজারে গ্যাসের সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল করিম বলেন, এই উপজেলায় অনুমোদিত পেট্রলপাম্প রয়েছে পাঁচটি। এগুলো দিনরাত চালু রয়েছে। তারপরেও বাইরে খোলামেলা পেট্রলের পাশাপাশি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে চলেছে।


এ সবের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা না করায় দিন দিন বেড়ে চলেছে দোকানের সংখ্যা। এসব দোকানের পেট্রল ক্রেতাকে অনেক দোকানি চেনেন না বা জানেন না। এটি খুবই বিপজ্জনক। দুস্কৃতদের হাতে পেট্রল চলে যেতে পারে।
নন্দীগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্তকর্তা বজলুর রশিদ জানান, সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল বিক্রি করা খুবই বিপজ্জনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াভহ অগ্নিকান্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শারমিন আখতার বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কেউ যত্রতত্র বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button