বগুড়ার নবীন লেখক রোকনের ‘নরকে নক্ষত্র’ ঢাকা বইমেলায়!

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় হাসান রোকনের প্রথম বই ‘নরকে নক্ষত্র’ প্রকাশিত হয়েছে।
সামাজিক অন্ধকার ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ‘নরকে নক্ষত্র’ তার তৃতীয় পাণ্ডুলিপি হলেও প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস।
একটি নষ্ট চোখ নিয়ে, জন্ম থেকেই ‘লিউকোমিয়া’ রোগে আক্রান্ত হাসান রোকনকে নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত নিতে হয়। দুর্লভ এই রোগও তার মনোবলকে কমাতে পারেনি। বেঁচে থাকার বাকি সময়টা সে মানুষের কাজেই কাটিয়ে দিতে চায়। রোকনের এই চাওয়া থেকেই এসেছে ‘নরকে নক্ষত্র’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট।

একটি সাহসী মেয়ের পদক্ষেপের সাথে মিশে জাওয়া সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জীবনের গল্প। যে গল্প প্রবাহিত হয়েছে লেখকের নিজের জীবনের ডালপালায়।
হাসান রোকন বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ থেকে বগুড়া লাইভ’কে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেন, “নিজের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে তার অনুভূতি আসলে প্রকাশ বা বর্ণনা করার মতো হয়না। আমার ব্যাক্তি জীবন ও একটি মেয়ের বিপ্লবী জীবনের কথা উঠে এসেছে আমার এই উপন্যাসে।“ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন গণমানুষের জীবন নিয়ে লেখে জেতে চান তিনি।
প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পেরুতে না পেরুতেই তিনি আগ্রহী হয়ে ওঠেন লেখালেখিতে। নিয়মিত নানা পত্রিকায়-ম্যাগাজিনে পাঠাতে থাকেন তার লেখা কিন্তু স্বপ্ন ছিলো নিজের একটি বইয়ের। বাড়ি গাইবান্ধা জেলার ফলগাছায় হলেও বগুড়ায় পড়াশুনার ক্ষাতিরে জীবনের একটি বড় অংশ কাটিয়েছেন।
বগুড়া লেখক চক্রের সাধারণ সম্পাদক আমির খসরু সেলিম বগুড়া লাইভকে বলেন,”আমাদের উচিৎ নতুন লেখকদের স্বাগতম জানানো। কিন্তু আমাদের বগুড়া বই মেলা নতুন লেখকদের অনুকূলে নয়। এ বিষয়ে বই মেলার কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।“
বইটি ঢাকার একুশে বই মেলার ২২৮ নাম্বর স্টলের পাশাপাশি বগুড়া বই মেলায় ‘প্রথমা প্রকাশনী’র স্টলে ও রকমারিতে পাওয়া যাচ্ছে।
এস.এম. সাজিদ হাসান শান্ত।