চিকিৎসা সংক্রান্তনাগরিক সেবানির্মাণ সামগ্রীবগুড়া সদর উপজেলা
বগুড়ায় প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসায় নিউরো সেন্টার চালু হচ্ছে
স্নায়ু জটিলতা যেমন মাথামোটা, মুখ দিয়ে লালা পড়া, খিঁচুনি ও সকল নিউরো প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসা এবং সুরক্ষা দিয়ে পরিবার ও সমাজে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ কেন্দ্র চালু হচ্ছে বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। নামকরণ হয়েছে- নিউরো ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। সরকার দেশে এই প্রথম এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে নীতিমালা প্রণীত হয়ে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দু’তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রগুলো চালু হবে।
বগুড়ায় এই কেন্দ্রটি হবে শহরতলীর বারবাকপুরে। সেখানে অবস্থিত সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্রটি অন্য স্থানে সরিয়ে বিদ্যমান অবকাঠামোর ওপরই প্রতিষ্ঠিত হবে নিউরো ডেভেলপমেন্ট সেন্টার। সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে বগুড়া নিউরো ডেভেলপমন্টে সেন্টারে ৫০ জন ছেলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০ জন মেয়েকে হোস্টেলে রেখে সার্বিক পরিষেবা দেয়া হবে। দেশে শারীরিক, মানসিকসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধী আছে। নিউরো ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে শুধু নিউরো বিষয়ক জটিলতায় তীব্রভাবে আক্রান্তদের ভর্তি করা হবে। পরবর্তী সময়ে আসন ও কেন্দ্র বাড়ানো হবে।
বগুড়া সমাজকল্যাণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শহীদুল হক খান জানান, নিউরো ডেভেলপ সেন্টারের নীতিমালায় উল্লেখিত বিষয়গুলোর সবই থাকছে। কেন্দ্রটি পরিচালনার কর্মী বিন্যাস তৈরি হয়েছে। যেহেতু দেশে এ ধরনের কেন্দ্র এই প্রথম সে কারণে কেন্দ্র চালু করার পর যেখানে সমস্যা হবে তা দ্রুত পূরণ করার ব্যবস্থাও থাকবে। তিনি বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি স্থানে স্নায়ু বিকলের মানুষ দেখা যায়। দুঃখজনক অধ্যায় হলো গ্রামাঞ্চলে এদের সুরক্ষা দেয়ার বদলে পরিবারে ও সমাজে বোঝা মনে করা হয়। এরা বেড়ে ওঠে অনাদরে এবং খুবই অবহেলিতভাবে। চিকিৎসা তো দূরে থাক এদের পারিবারিক বন্ধন তেমন থাকে না।
মমত্বের বন্ধন তৈরি করাও হয় না। নগর জীবনের পরিবারে কিছু শিশু পারিবারিক বন্ধনে থাকে। তারপরও এদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকগণ। নিউরো জটিলতার এমন শিশু ও ব্যক্তিকে হোস্টেলে রেখে চিকিৎসা সার্বিক পরিষেবা, পরিচর্যা দিয়ে যাদের লেখাপড়া করানো যায় তাদের যতটা পারা যায় শিক্ষিত, যাদের কর্মক্ষম করা সম্ভব তাদের কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
সমুদ্র হক ॥ জনকণ্ঠ