স্বাস্থ্য
বাঁধাকপি নিয়ে কিছু তথ্য এখনি জেনে নিন
বাধাকপি মূলত বাংলাদেশের একটি শীতকালীন সবজি, যা পাতাকপি নামে বেশি প্রচলিত। এদেশে সবুজ বর্ণের বাধাকপি হয়ে থাকে, তবে অন্যান্য দেশে লাল বর্ণেরও বাধাকপি পাওয়া যায়। বাংলাদেশেও বর্তমানে লাল বর্ণের বাধাকপি এখন সুলভ।
পুষ্টিগুনঃ
➢ বাধাকপিতে রয়েছে lupeol, diindolylmethane এবং sinigrin নামক ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান। তাই বাধাকপি সেবন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে।
➢ বাধাকপি বুক জ্বালা-পোড়া, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দূর করে।
➢ কিডনি সমস্যা প্রতিরোধে ও এ সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য বাধাকপি আরেকটি অপরিহার্য সবজি। যারা কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন, চিকিৎসকরা তাদের কাঁচা বাধাকপি সুন্দর করে কেটে কাঁচা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
➢ বাধাকপিতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন C রয়েছে যা দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
➢ বাধাকপির রস খেলে ঘা / ফোঁড়া সেরে যায় ৷
➢ বাধাকপির পাতা কাচা যদি আপনি রোজ 50 গ্রাম করে খেতে পারেন তাহলে আপনার পায়রিয়া এবং দাঁতের অন্য কোন সমস্যা থাকবে না ৷
➢ বাধাকপিতে আছে উচ্চ আঁশ জাতীয় উপাদান যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
➢ আলসার বা পেপটিক আলসার রোগীদের জন্য বাধাকপি উত্তম দাওয়াই। বাধাকপির রস নিয়মিত পান করা গেলে তা পেপটিক আলসার রোগীদের উপশম দান করে।
➢ বাধাকপি বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি যা চোখের সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী।
➢ বহুস্তরবিশিষ্ট এ সবজিটি ফাইটোকেমিক্যালসের অন্যতম উৎস, যা শরীর ও ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। উজ্জ্বল এবং সুন্দর ত্বকের জন্য বাধাকপি বরাবরই অপ্রতিদ্বন্দ্বী একটি সবজি।
➢ বাধাকপিতে প্রচুর পরিমান ভিটামিন আছে যা চুল পরা সমস্যা রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
➢ বাধাকপির সুপ শুধুমাত্র আপনার শরীরের ওজনই কমায় না, শরীরের পূর্বের আকার ফিরে পেতে সাহায্য করে । বাধাকপি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে গ্লুটাথায়ন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা আপনার লিভারকে কর্মক্ষম রাখাতে সাহায্য করে ।
➢ এক গ্লাস দই এর ঘোলের মধ্যে এক কাপ বাধাকপির রস, এক চতুর্থাংশ পালং শাকের রস মিশিয়ে প্রতিদিন দু বার পান করলে খুব অল্প দিনের মধ্যে আপনার কোলাইটিস সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে ৷