আদমদিঘী উপজেলা
বগুড়ার আদমদীঘিতে মায়ের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে অপহরণের নাটক
নতুন মোটরবাইক এবং শখ পূরণের অন্যান্য উপকরণ কিনতে বন্ধুদের বুদ্ধিতে অপহরণ নাটক সাজায় বগুড়ার আদমদীঘির কলেজ ছাত্র তমাল হোসেন আকাশ (১৮)। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে পুলিশ এই সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে আকাশকে উদ্ধার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহীন হোসেন মালয়েশিয়া চাকরি করেন। তার স্ত্রী ও ছেলে আকাশ সান্তাহার নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। আকাশ স্থানীয় আহসানুল হক ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে প্রাইভেট পড়তে রবিবার সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। বেলা ১১টার দিকে আকাশের মোবাইলফোন থেকে তার মাকে ফোন দিয়ে অপহরণের কথা জানানো হয়। মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ ও পরে ২৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে আকাশকে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।
পরে আকাশের মা ও পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে অবহিত করেন। ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, আকাশকে কেউ অপহরণ করেনি। সে নিজেই এমন নাটক সাজিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করলে আকাশ টের পায়। সে তার বন্ধুদের রেখে বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার সীমান্ত এলাকা নওগাঁর দুর্গাপুর এলাকায় পালিয়ে যায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকাশকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ জানিয়েছে, সে বন্ধুদের পরামর্শেই মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে অপহরণ নাটক করেছিল। এ টাকায় সে বাইক এবং অন্য শখ পূরণ করতে চেয়েছিল।