বিনোদন
আচার আলম যেভাবে হলেন হিরো আলম
সে দিনের আচার আলমই আজকের হিরো আলম। কিন্তু জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া সেই আশরাফুল আলম বউ পেটানোর দায়ে আজ কারাগারের সেলে বন্দী জীবনযাপন করছেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া পলিবাড়ী গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন এ সময়ের বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র অভিনেতা হিরো আলম। দারিদ্র্যের কারণে বাবা-মা তাকে লালন-পালনের জন্য একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পাঠান। তার পড়াশোনা স্থানীয় এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত।
দারিদ্র্যের কারণে প্রথমে আলম আচার বিক্রি করতেন। তাই তার নাম দেয়া হয় আচার আলম। এরপর সিডি বিক্রির কারণে তার নাম হয় সিডি আলম। সেখান থেকে স্থানীয় ডিশ ব্যবসার কারণে তার নাম হয় ডিশ আলম। এভাবে তিনি বেড়ে ওঠেন। ২০০৮ সালে গানের সাথে মডেলিং করে সিডির ব্যবসা জমে ওঠে। এরপর ২০০৯ সালে তিনি পাশের গ্রামের সাইফুল ইসলাম খোকনের মেয়ে সাবিহা আক্তার সুমিকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দেশে ও ভারতে নামীদামি মডেলদের সাথে অভিনয়ের কারণে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। বিশেষ করে ইউটিউবে তার ফলোয়ার এখন লাখ লাখ। এভাবে তিনি হয়ে ওঠেন হিরো আলম।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু নন্দীগ্রাম ) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান। এ নির্বাচনী প্রচারে হিরো আলম গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পান। আলম বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকলেও এক-দুই মাস পর পর বগুড়ার বাড়িতে আসতেন। তার গ্রামের বাড়ির ডিশ ব্যবসা তার স্ত্রী সুমি দেখাশোনা করতেন।
স্ত্রী সুমি জানান, আলম সম্প্রতি পরিবারে কোনো খরচ দিতেন না। ঢাকা থেকে বগুড়ায় এসে ডিশের ব্যবসার সব টাকা নিয়ে যেতেন। তিনি আরো জানান, আলম সম্প্রতি ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পরিবারের খোঁজ নেন না। তিনি গত বর্তমানে স্ত্রী সুমিকে মারধর মামলার আসামি হয়ে বগুড়া কারাগারে রয়েছেন।
বগুড়া কারাগার সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে একটি সেলে রাখা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার রাতে খিচুড়ি খেতে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করলে শ্বশুর সাইফুল ইসলাম খোকন তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত বৃহস্পতিবার আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে কারাগারে পাঠান হয় তাকে।