গ্যাসের দাম ১০৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব

নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সব শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম গড়ে ১০৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ প্রস্তাবনার কথা জানানো হয়।প্রস্তাবনা অনুযায়ী, গৃহস্থালি পর্যায়ে দুই বার্নার চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০০ থেকে ১ হাজা ৪৪০ টাকা এবং এক বার্নার চুলার দাম ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।এতে শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।
মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে আবারো গ্যাসের দাম বাড়াতে সোমবার থেকে গণশুনানি শুরু করেছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। প্রথম দিনে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনা দেয় পেট্রোবাংলা। এছাড়া গ্যাসের সঞ্চালন চার্জ ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করে জিটিসিএল।তবে গণশুনানিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনরা।গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, গ্যাসে বড় অংকের একটা ভর্তুকি দেয় সরকার। সেই ভর্তুকিটা আমরা ধীরে ধীরে কমিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এই যে বাড়াচ্ছি তার জন্য যে আমাদের লাভ হবে তাতো না।তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হল, আমাদের যে গ্যাসের অবস্থা সেটা পূরণ করার জন্য আমরা কস্টলি গ্যাস এলএনজি নিয়ে আসছি। এই এলএনজি আনার জন্য বাড়তি একটি কস্ট এর মধ্যে ইনভলভ হয়ে যাচ্ছে। মোস্টলি শিল্প ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে হবে। হাউজহোল্ডে খুবই কম। আমরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সাথে কয়েকবার বসেছি। তারা খুব পজিটিভ। তারা বলছে, আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস চাই।’একই অর্থবছরের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর এটি দ্বিতীয় উদ্যোগ।কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের জ্বালানী উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলছেন একবার মূল্যবৃদ্ধির ১২ মাসের মধ্যে নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব আইন অনুযায়ী অবৈধ।