বগুড়া সদর উপজেলা

লাল মরিচের চোখ ঝলসানো দৃশ্য এখন বগুড়ার চরাঞ্চলের মাঠে

 

বগুড়ায় মরিচ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় এলাকা যমুনার তীরের সারিয়াকান্দির গ্রাম ও চরগ্রাম। এরপর গাবতলির কলাকোপা, ধুনটের গোসাইবাড়ি, ভান্ডারবাড়ি, সোনাতলার রানীরপাড়া, হরিখালি এলাকায় মরিচের আবাদ অনেক বেড়েছে। সারিয়াকান্দি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কিষাণবাড়ির আঙিনা ও চাতালের মেঝেতে বিশেষ কায়দায় মরিচ শুকানো হচ্ছে।

বগুড়ার গ্রিন চিলি (কাঁচা মরিচ) ও রেড চিলির (লাল মরিচ) সুনাম সুবিদিত। দেশের বাইরেও বেশ জনপ্রিয়। ভিন্ন স্বাদ ও ঝাঁজের কারণে বগুড়ার মরিচের চাহিদা ঝালপ্রিয় মানুষের কাছে সবার আগে। বিশেষ করে নারীদের পছন্দের শীর্ষে বগুড়ার লাল মরিচের ঝাল। একই সঙ্গে বগুড়ার শ্রমজীবী নারীদের বাড়তি উপার্জনের উপলক্ষ লাল মরিচ।
লাল মরিচের চোখ ঝলসানো দৃশ্য এখন বগুড়ার চরাঞ্চলের মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে। স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষক লাল স্বপ্নে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছেন। মাঠের মরিচ এখন কৃষকের গোলায় উঠতে শুরু করেছে। মাইলের পর মাইল যমুনার পাকা বাঁধে শুকানো হচ্ছে এসব মরিচ। কৃষকের এই লাল স্বপ্নের সঙ্গে মিশে আছে জেলার প্রায় ১০ হাজার নারী শ্রমিক। তাদের চোখে-মুখেও আনন্দের আভা।
এমন দৃশ্য দেখে যে কারো মন জুড়াবে নিমিষেই। চাইলে ঘুরে আসতে পারেন বগুড়া জেলার মরিচ আবাদিত এলাকাগুলোতে। ঢাকা থেকে খুব সহজেই সড়ক পথে বগুড়া যাওয়া যায়। বগুড়া শহর থেকে সিএনজি, টেম্পো, রিকশা করে মহাস্থানগড় যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে যে সব বাস বগুড়া যায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য টি আর ট্রাভেলস, শ্যামলী পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস ও হানিফ এন্টারপ্রাইজ।
বগুড়ায় থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোটেল ও মোটেল। এগুলোর মধ্যে হোটেল নাজ গার্ডেন, পর্যটন মোটেল, সেফওয়ে মোটেল, নর্থওয়ে মোটেল, সেঞ্চুরি মোটেল, মোটেল ক্যাসল এমএইচ, হোটেল আকবরিয়া উল্লেখযোগ্য। আপনি এখানে চার তারকা হোটেলও পেয়ে যাবেন। বগুড়ায় উন্নত মানের থাকার জায়গার মধ্যে আছে হোটেল নাজ গার্ডেন, সিলিমপুর, পর্যটন মোটেল ও আকবরিয়া হোটেল।
 
ছবিঃ আব্দুল মোমিন

Source: ডেইলি বাংলাদেশ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button