বগুড়ার ইতিহাস
বগুড়া জেলার মরহুম এড্যাভোকেট জহুরুল ইসলাম সাহেবের জীবন চরিত্র
মরহুম এড্যাভোকেট জহুরুল ইসলাম ১০ অক্টোবর ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলাধীন মুরইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাহাঁর পিতা মরহুম কলিম উদ্দিন আহম্মদ বগুড়ার বিশিষ্ট উকিল এবং মুরইল ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। পিতামহ-মজিবর রহমান তরফদার বগুড়া বারের জননন্দিত উকিল এবং বগুড়া জেলাবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
শিক্ষা জীবনঃ জহুরুল ইসলাম শৈশব কাল হতেই ভদ্র এবং বিনয়ী ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং সেখান হতেই ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর তিনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন। উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে তিনি আই এ পাশ করেন। তিনি ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে একই প্রতিষ্ঠান হতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
কর্ম জীবনঃমরহুম এড্যাভোকেট জহুরুল ইসলাম ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পাশ করেন এবং একই খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া বারে যোগদান করেন। তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও সমাজসেবা ও জনকল্যানে নিয়োজিত থেকে বগুড়াবাসীর শ্রদ্ধা ও সন্মান অর্জন করতে সক্ষম হন। তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া সদর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠিত তিনি বগুড়া জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তিনি ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে সরাসরি এবং ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খালেদা জিয়ার সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পেশাগত কারনে তিনি বিভিন্ন সময়ে সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, জার্মানি, সৌদি আরব, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ভারত সফর করেন।
সমাজ সেবামুলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণঃমরহুম এড্যাভোকেট জহুরুল ইসলাম সমাজসেবা মুলক প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত হয়ে বগুড়া জেলায় সমাজ সেবায় অবদান রাখেন। তিনি ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত একটানা ১২ বছর বগুড়া উডবার্ন লাইব্রেরীর সেক্রেটারি হিসেবে এবং বগুড়া বার সমেতির তিনবার জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বগুড়া রেডক্রিসেন্ট সমেতির আজীবন সদস্য এবং লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল-এর চার্টার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বগুড়া জেলা সাংবাদিক সমেতির সম্পাদক এবং প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন। সমাজসেবায় স্বীকৃতি সরুপ বগুড়া শহরের একটি মহল্লা “জহুরুল নগর” নামকরণ করা হয়।
তথ্য সংগ্রহঃ Golam Zakaria Kanak