বগুড়ার ইতিহাস

বগুড়া ইয়ূথ কয়্যার সম্পর্কিত তথ্য



কার্যালয়ঃ বগুড়া জেলার সদর উপজেলার নওয়াববাড়ি সড়কে বগুড়া জেলা জাতিয়তাবাদী দলের জেলা কার্যালয়ের দোতালায় বগুড়া ইয়ূথ কয়্যার-এর একমাত্র কার্যালয় অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠার ইতিহাসঃবগুড়ার আঞ্চলিক গানের মাধ্যমে বগুড়ার যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া ইয়ূথ কয়্যার প্রতিষ্ঠিত হয়।


প্রতিষ্ঠাতাঃ তৌফিকুল আলম টিপু।


উদ্দেশ্যঃ** দেশ, জাতি এবং মানবজাতীর জন্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম উৎসগ করা।** পেশাদার সাংস্কৃতিক কর্মী তৈরী করা এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি করা।** নিয়মিত অনুশীলন এবং কর্মীদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বগুড়ার আঞ্চলিক সংগীত,গান,নৃত্য এবং নাটকের মাধ্যমে দেশের আর্কাইভ সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করা।** দুর্দশাগ্রস্থ সাংস্কৃতিক কর্মীদের পূনঃবাসনে ভুমিকা পালন করা।** উন্নত দেশগুলির সাংস্কৃতিক চর্চার সহিত দেশের সাংস্কৃতিক চর্চার বিনিময় করা।


ইয়্যুথ কয়্যারের সাংস্কৃতিক চর্চাঃ‘সত্তরের দশকে বগুড়ার শেরপুরের বিখ্যাত দইয়ের দাম পাঁচ শিকা থেকে এক লাফে পাঁচ টাকায় ওঠে। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে গান লিখি “গোবরা খ্যায়া যা শেরপুরের দই, পাঁচ শিকা আচল এখন পাঁচটেকায় লই।” এ গান দিয়েই কিন্তু ইয়্যুথ কয়্যারের শুরু।’


‘ওই কালো ছুড়িডা হামাক পাগলা করিচে, ওই কালো ছুড়িডা হামাক দেওয়ানা করিচে তার কালো চোখের তিরডা হামার কলজাত ঠেকিচে।’’- ‘বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যার’-এর সেই গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।


১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া মহিলা ক্লাবে গানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন তথ্যসচিব। উক্ত অনুষ্ঠানে- “হামরা বগুড়ার ছল, পুঁটি মাছ মারবার য্যায়া মারে আনি বোল”, “ক্যারে বড় বউ তুই ঘুমত থ্যাকে উঠিস না ক্যারে”সহ বেশ কয়েকটি গান।
অনুষ্ঠানে ইয়্যুথ কয়্যারের পরিবেষনায় তথ্যসচিব মুগ্ধ হন। বিটিভির তৎকালীন প্রযোজক নওয়াজেশ আলী খানকে ইয়্যুথ কয়্যারের গান ধারণ করতে নির্দেশ প্রদান করেন। কয়েক মাস পর ডাক পড়ল বিটিভি থেকে। ১৯৭৯-তে ইয়্যুথ কয়্যারের আটটি গান বিটিভিতে প্রথম প্রচার হওয়ার পর ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।
আশির দশকে বের করা হয় ইয়্যুথ কয়্যারের প্রথম অডিও অ্যালবাম “গ্যাঞ্জাম”। এ অ্যালবামের গানের মধ্যে “গ্যাঞ্জাম লাগিসে খালি গ্যাঞ্জাম”, “


ইয়্যুথ কয়্যারের প্রতিটি গানে রয়েছে সমাজকে জাগানোর বার্তা। বিভিন্ন টেলিভিশনে সংগঠনটির এ পর্যন্ত প্রায় ৬০টি অনুষ্ঠান করেছে। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ‘কোরিওগ্রাফ অ্যাক্রোবেটিক’ নামে একটি নতুন ধারার সৃষ্টিও করেছে তারা। প্রায় ৫০ জেলায় অনুষ্ঠান করেছে ইয়্যুথ কয়্যারের শিল্পীরা।


প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা গানের কথা ও সুর দেওয়ার কাজেই নিয়োজিত। বর্তমানে সংগঠনে কোরিওগ্রাফি নির্দেশনা দিচ্ছেন তাঁর একমাত্র মেয়ে জয়নব তাবাসসুম সোনালী। জয়নব তাবাসসুমের নেতৃত্বে বর্তমানে বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যারে রয়েছে প্রায় ৫০ জন তরুণ-তরুণী।


সম্প্রতি নারী ও শিশুর অধিকার নিয়ে নতুনভাবে আবার মঞ্চে আসছে সংগঠনটি।


সন্মাননা পুরস্কারঃ ১. ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে “বরেন্দ্র এওয়ার্ড” রাজশাহী, বাংলাদেশ অর্জন করে।২. ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া লেখক চক্র কর্তৃক “বগুড়া লেখক চক্র এওয়ার্ড” অর্জন করে।৩. বগুড়ার সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে “শহীদ কামরুজ্জামান এওয়ার্ড” সহ অনেক সন্মাননা পুরস্কার অর্জন করে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button