বগুড়ার ইতিহাস

বগুড়ার সদর উপজেলার বৃন্দাবন পাড়ার মরহুম ওস্তাদ আলাউদ্দিন সরকার সাহেবের জীবন চরিত্র



মরহুম ওস্তাদ আলাউদ্দিন সরকার সাহেব ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া জেলার সদর উপজেলার বৃন্দাবন পাড়ায় জন্ম গ্রহন করেন। তাহার পিতা আব্দুর রহমান সরকার বগুড়া রেজিস্ট্রি অফিসের মোহবার ছিলেন।


ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের উপর ছিল গভীর আগ্রহ। সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি নিজেকে সঙ্গীত সাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। সঙ্গীতের উপর অধিক আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি। কিন্তু বিষয় ভিত্তিক বিভিন্ন বইয়ের প্রতি অগাধ দুর্বলতা ছিল।


সঙ্গীতকে তিনি ভালবেসেছিলেন অন্তর থেকে। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পি বুলবুল চৌধুরী একদা তার গান শুনে অভিভূত হয়ে বলেছিলেন- “আমি বহু গান শুনেছি, তবে অখ্যাত মফস্বলে এই রকম সুন্দর গান শুনতে পারিনি “।


আরেক বর্ণনায় জানা যায়- বিখ্যাত ওস্তাদ এনায়েত খানের সাথে একবার তবলায় সহযোগিতা করেছিলেন।বাজনার শেষে এনায়েত খান তাহার পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন- “বহুত আচ্ছা বাজাইয়া বেটা, কিহা নাম হ্যায় তুমহারা”। তাহার নাম বলায় তাহাঁকে ওস্তাদ এনায়েত খান দোয়া করেছিলেন।


মেগাফোন কোম্পানির কর্ণধার ওস্তাদ আলাউদ্দিন সরকার সাহেবের গান শুনে এবং ক্যারক্যাচার দেখে এককালীন চারশত টাকা পুরস্কার দিয়েছিলেন। বিখ্যাত ওস্তাদজী গায়ক আব্বাস উদ্দিন সাহেবের সহিত কলকাতায় একই ঘরে থাকতেন। তাহার মাধ্যমে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সহিত তাহাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাহাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন।


তিনি ১৪ নভেম্বর ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়ায় পরলোক গমন করেন।
চলমান….

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button