বগুড়ার ইতিহাসভোজন
মহাস্থানের বিখ্যাত কটকটি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য
নামকরনঃকটকটি শব্দটির নামকরনের সঠিক তথ্য আমার জানা নাই। খাবারটি মুখ দিয়ে চিবানোর সময় কটকট শব্দের সৃষ্টি হয়, সেই কারনে মিষ্টান্নটির নাম ”কটকটি” নাম কটকটি হতে পারে।
ইতিহাসঃজনশ্রুত অনুযায়ী জানা যায় যে, স্বাধীনতার ব্রিটিশ শাস আমল থেকেই মহাস্থানগড় এলাকাবাসী তাদের জীবন ও জীবিকার উপযোগী পেশা হিসাবে কটকটি ব্যবসাকে বেছে নিয়েছে। খাবারটি সুস্বাদু এবং মজাদার হওয়ায় এবং ব্যাপক চাহিদা থাকায় যুগ যুগ ধরে এই মিষ্টান্ন এখনও টিকে আছে।
প্রস্তুত প্রনালিঃ সিদ্ধ সুগন্ধি চাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে, তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে কিছুটা শুকিয়ে ঢেঁকিতে আটা করতে হয়। এরপর অত্যন্ত মিহি এই আটার মাঝে সুগন্ধিযুক্ত মশলা,ভেজিটাবল ওয়েল বা ডালডা দিয়ে খামির তৈরি করে নিতে হয়। উক্ত খামির ফরমা দিয়ে কেটে তেল,ডালডা বা ঘি দিয়ে ভাজতে হয়। ভাজা কটকটি এবার চিনি বা গুড়ের রসের মাঝে দিতে হয়। গায়ে চিনির ঘন শিরা বা গুড় লেগে গেলে তুলে নিয়ে জমাট বাঁধার সময় দিতে হয়। এভাবে প্রস্তুত হয় মহাস্থানের প্রসিদ্ধ কটকটি।
প্রাপ্তিস্থানঃ প্রাচীনতম রাজধানী মহাস্থান গড়,বেহুলার বাসর ঘর,শাহ সুলতান বলখির মাজার সংলগ্ন দোকান সমুহে প্রসিদ্ধ কটকটি পাওয়া যায়। তাছারা বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় মহাস্থানের কটকটি পেতে পারেন। গুনগত মানের বিচারে কেজি প্রতি ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় আপনি মহাস্থানের কটকটি পেতে পারেন। বগুড়া জেলা দই-এর জন্য দেশব্যাপি প্রসিদ্ধ হলেও মহাস্থানের কটকটি ঐতিহ্যবাহি খাবার হিসাবে বেশ প্রসিদ্ধ লাভ করেছে ভ্রমনপিপাসুদের মাঝে।