বগুড়া সদর উপজেলা

নব্বইয়ের দশকের ছোটবেলার বহুস্মৃতি জড়িয়ে আছে এই কারুপল্লিতে



১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে মরহুম খন্দকার আমিনুল করিম দুলাল (কারুশিল্পী) বগুড়া জেলার নবাব বাড়ি সংলগ্ন স্থানে নির্মান করেছিলেন কারুপল্লী। কারুশিল্পীর নিপুন হাতে তৈরি করেন জীব জন্তুর প্রতিকৃতি। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে উক্ত কারুপল্লীতে প্রস্তুত করেন ‘আদিম মানুষের আজব গুহা।’ উক্ত “আজব গুহার” মাধ্যমে কারুশিল্পী আদিম মানুষের জীবন-বৈচিএ ফুটে তুলেছিলেন। আজব গুহা কারুপল্লীর এক অপূর্বে সৃস্টি। বগুড়া নবাব পরিবারের বংশধর ওমর আলী চৌধুরী এই আজব গুহা উদ্ভোদন করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫/- মুল্যের টিকিটের মাধ্যমে সাধারণ দর্শনার্থী “আজব গুহা” দর্শন করার সুযোগ লাভ করতেন।


কারুশিল্পী ১৫ জানুয়ারি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে হদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৩৮ বছর বয়সে অকালে মৃত্যুবরন করেন। তাহার মৃত্যুবরনের পর তাহাঁর পরবর্তী প্রজন্মগন এই প্রতিষ্ঠানটির অর্থাৎ কারুপল্লী পরিচর্যা করতে পারেন নাই। পরিচর্যা ও সংরক্ষনের অভাবে প্রতিষ্ঠানটির গ্রহনযোগ্যতা কমতে থাকে। পরবর্তী সময়ে তাহাঁর প্রজন্মগন এই “কারুপল্লী” বিক্রয় করে দেন। ইহার মাধ্যমে কারুপল্লী এবং ‘আদিম মানুষের আজব গুহা’র অস্তিত্ব বিলীন হয়।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button