দেশের সব সিম অপারেটরের ফোরজি গতি কম ।
দেশের কোনো মোবাইল ফোন অপারেটরই চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) ইন্টারনেট সেবায় নির্ধারিত মাত্রার গতি দিতে পারছে না।
#চারটি বিভাগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বুধবার বিটিআরসি এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। #রাজশাহী, #খুলনা, #বরিশাল ও #রংপুর বিভাগে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। এর আগে #ঢাকায়ও বিটিআরসি একই জরিপ করেছিল। সেখানেও ফোরজিতে নির্ধারিত হারে গতি পাওয়া যায়নি।
অবশ্য অপারেটরগুলো বলে আসছে, বর্তমান অবকাঠামোতে এর চেয়ে বেশি গতি দেওয়া কঠিন। বিটিআরসি গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ জরিপ চালিয়েছে। জরিপে ৭০০ থেকে ২ হাজার নমুনা ব্যবহার করেছে তারা।
জরিপে বলা হয়, কোনো বিভাগে কোনো অপারেটরের গতিই ৭ এমবিপিএস বা তার বেশি নয়। যদিও নীতিমালা অনুযায়ী, গতি ৭ এমবিপিসের বেশি হওয়ার কথা।
নতুন জরিপে কিছু ক্ষেত্রে কল সংযোগ বা সেটআপের ক্ষেত্রে বাড়তি সময় লাগার চিত্র দেখা যায়। আর সেবার মানের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সরকারি অপারেটর টেলিটকের।
জরিপ অনুযায়ী, এ চার বিভাগে #গ্রামীণফোনের ফোরজি সেবার ডাউনলোড গতি সর্বনিম্ন খুলনায়, ৪ দশমিক ৬৩ এমবিপিএস। বেশি রংপুরে, ৬ দশমিক ৮৮ এমবিপিএস। রাজশাহী বিভাগে গ্রামীণফোনের ফোরজির গতি ৬ দশমিক ৬৯ ও বরিশালে ৫ দশমিক ১ এমবিপিএস। কল সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনে নির্ধারিত ৭ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে খুলনা ও বরিশালে। বাকি সব ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ভালো মানের সেবা দিচ্ছে।
#রবির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম গতি ৪ দশমিক ৮৯ এমবিপিএস, যা মিলেছে বরিশালে। সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৭৫ মিলেছে রাজশাহীতে। খুলনায় রবির গতি ৫ দশমিক ২৯ এমবিপিএস ও রংপুরে ৬ দশমিক ৫১ এমবিপিএস। খুলনায় রবির থ্রিজির গতি নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম। বরিশালে তাদের কল সংযোগের গড় সময় নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে সামান্য বেশি। অন্য সব ক্ষেত্রে রবির সেবার মান ঠিক আছে।
#বাংলালিংকের ক্ষেত্রে ফোরজির সর্বনিম্ন গতি বরিশালে, ৩ দশমিক ৫৬ এমবিপিএস। খুলনায় তা ৪ দশমিক ৯৬, রাজশাহীতে ৫ দশমিক ১০ ও রংপুরে ৪ দশমিক ৬৮ এমবিপিএস।
বাংলালিংকের ক্ষেত্রে কল সংযোগের গতি খুলনা ও বরিশালে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি।
#টেলিটক এখনো ফোরজি চালু করেনি।
থ্রিজিতে ডাউনলোডের গতি চার বিভাগেই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম। কল সংযোগের সময় ও কলড্রপের হারের দিক দিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছে তারা।