নন্দীগ্রামে এক নববধুর চোখ ওপরে ফেলার চেষ্টা পাষন্ড স্বামীর
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে এক নববধুর চোখ ওপরে ফেলার চেষ্টা করেছেন তাঁর পাষন্ড স্বামী। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় নববধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী-শ্বশুড়িকে পুলিশ আটক করেছে।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার দাসগ্রামের নরেশ চন্দ্রের ছেলে রুমেন চন্দ্রের (২৫) সাথে প্রায় ৮ মাস আগে একই গ্রামের কামাল মহোন্তের মেয়ে পিংকি রানী মহোন্তের (২০) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমেন চন্দ্রকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে।
বিয়ের পর বেকার রুমেন চন্দ্র জীবিকার তাগিদে বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তাঁর পক্ষে বিদেশে যাওয়ার অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই নববধুর পরিবারের নিকট ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।
এ দিকে পিংকি রানী হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে বিদেশে যাওয়ার টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পিংকির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন রুমেন। এ অবস্থায় শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে রুমেনের নিজ বাড়ীতে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালানো শুরু করেন। এক পর্যায়ে চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পিংকি রানীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন পাষন্ড স্বামী রুমেন চন্দ্রকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নববধুর স্বামী রুমেন চন্দ্র ও শ্বাশুড়ি রেনুকা রাণীকে (৪৭) আটক করে। পিংকির ভাই অলক চন্দ্র বলেন, পিংকির ওপর নানা সময়ে রুমেন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করলেও লোকলজ্জায় বেশির ভাগ সময়ই তা চেপে যেতেন। শুক্রবার রুমেন নির্যাতনের এক পর্যায়ে পিংকির চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, স্ত্রীকে নির্যাতন করায় স্বামী ও শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুত্রঃ এফএনএস (মোঃ ফিরোজ কামাল ফারুক)