আদালতে বিচারকের সামনেই এক আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করলো আরেক আসামি
কুমিল্লায় বিচারকের খাস কামরায় আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
আদালত কক্ষের ভেতর এমন ঘটনা শোনা যায় না বললেই চলে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায় আদালত কক্ষের মধ্যে বিচারকের উপস্থিতিতে শুনানি চলাকালে এক আসামির ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন আরেক আসামি। একটি মামলার শুনানির জন্য মনোহরগঞ্জ থেকে তারা আদালতে এসেছিলেন।
কুমিল্লার আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে ফারুক নামের এক আসামিকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে খুন হন হাজী আবদুল করিম। এদিন ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিলো। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। প্রাণভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যান। পিছু ধাওয়া করে হাসানও সেখানে ঢুকে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়।
এসময় আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গুরা থানা পুলিশের এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে। এ ঘটনায় উপস্থিত বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, একই মামলার এক আসামি অন্য আসামি ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে।
আদালতে যাওয়া সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, আমার সামনে একজন আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো। আমার উপরও হামলা হতে পারতো। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?