মশক নিধনে ব্যর্থ বগুড়া পৌরসভা, ৫ ফগারের তিনটিই অকেজো
২টি দিয়ে কাজ চলছে কোন রকমে বগুড়া শহরকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে এডিস মশা নিধন করতে পারছে না বগুড়া পৌরসভা। ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত (প্রথম শ্রেণীর) ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকার বগুড়া পৌরসভার মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো সবেধন নীলমণি পাঁচ ফগার মেশিনের মধ্যে তিনটিই অকেজো। বাকি দুটি দিয়ে কোন রকমে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে ২১ ওয়ার্ডের কাঁচা-পাকা ড্রেনে। পৌর এলাকায় এডিস মশার পোয়াবারো অবস্থা। রবিবার পর্যন্ত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তের ৩২ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। পৌর মেয়র মাহবুবর রহমান এই রোগীদের দেখতে গিয়েছিলেন। বললেন ড্রেনের পচা পানিতে যাতে মশক বিস্তার করতে না পারে সে জন্য ফগার মেশিনের স্বল্পতায় ম্যানুয়াল স্প্রে মেশিনেও ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রায় দেড় শ’ বছরের প্রাচীন বগুড়া পৌরসভায় তিন ফগার মেশিন দশ বছর আগের। দুটি ৫ বছর আগের। পুরনো তিনটি বেশিরভাগ সময়ই অকেজো থাকে। এই বন্ধ এই চালু অবস্থায় কার্যত কোন কাজই হয় না। পৌর মেয়র স্বীকার করলেন ৩ মেশিন অকোজো হওয়ায় দুটি নতুন মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কবে কেনা হবে তা বলতে পারেন না। বগুড়া নগরীতে সামান্য বৃষ্টিপাতেই প্রায় প্রতিটি সড়কে পানি জমে। অকার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সহজে পানি নামে না। অনেকটা সময় জলাবদ্ধ থাকে। ড্রেনের নোংরা পানি উপচে উঠে অনেক রাস্তায় কয়েকদিন জমে থাকে। ড্রেনগুলো ভরে ওঠে ময়লা পানিতে। সহজেই দেখা যায় মশার অবাধ বিচরণ। কোনটি এডিস আর কোনটি এনাফিলিস, কিউলিক্স তা বোঝার উপায় নেই।