বগুড়ায় দরজা-জানালা আটকে অর্ধশত ছাত্রীকে বেত্রাঘাত

বগুড়ায় অংক করতে না পারায় ক্লাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে অষ্টম শ্রেণীর অর্ধশত ছাত্রীকে অমানবিকভাবে বেত্রাঘাত করায় হাসান জাহিদ নামের এক শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় ফয়েজুল্বা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত গণিত শিক্ষক হাসান জাহিদ অংক না পারলেই ছাত্রীদের বেত্রাঘাত করে থাকেন। এর আগেও তিনবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের বেত্রাঘাত করার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার সকালে ৮ম শ্রেণির গণিত ক্লাসে ছাত্রীদের একটি অংক করতে দেন তিনি। কিন্তু ক্লাসে উপস্থিত ৫২ ছাত্রীর মধ্যে ২ জন বাদে আর কেউই অংকটি করতে পারেনি। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষক হাসান জাহিদ। তিনি এসময় শ্রেণিকক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে ৫০ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করে আহত করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রীদের কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে স্কুলের এক আয়া শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে চাইলেও তাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন ওই শিক্ষক। পরে খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসেন এবং তাদের সন্তানদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তাদের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ কয়েকজন অভিভাবক বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই স্কুলের পরিচালনা পরিষদ। এদিকে ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত হাসান জাহিদ স্কুলে ছুটির দরখাস্ত দিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। তার সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, “অর্ধশত ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করায় বৃহস্পতিবার বিকালে স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির জরুরি ডাকা হয়। সভায় গণিতের সহকারি শিক্ষক হাসান জাহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।” মো. নাজমুল হুদা নাসিম