শাজাহানপুর উপজেলা

অবশেষে ট্রাক ভর্তি টাকার রহস্য উদঘাটন

তিনটি ট্রাকে করে রাস্তার পাশে ও ডোবায় টাকা গুলো ফেলে দেয়া হয়েছিলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখার নির্বাহী পরিচালক জগন্নাথ ঘোষ বাতিল টাকা ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এগুলো ডাস্ট টাকা (ছেড়াসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল)। পৌরসভার মাধ্যমে টাকাগুলো পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যাপারে আগেই পৌরসভাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়রও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালশুকা খারুড়া ব্রিজ সংলগ্ন খালপাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় টাকার টুকরোগুলো পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে টাকার টুকরোগুলো উদ্ধার করে।

স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার সকালে খালপাড়ে বিপুল পরিমাণ কুচি কুচি টাকা দেখে সেগুলো কালো টাকা বলে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন কয়েক বস্তা টুকরো টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে থেকে আলামত হিসেবে পুলিশ দুই বস্তা ও র‌্যাব এক বস্তা টুকরো টাকা নিয়ে গেছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পার্চিং (কেটে ফেলা) করা টাকা ময়লা হিসেবে পৌরসভার মাধ্যমে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা টাকার ‍টুকরোগুলো বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় আল-আমিন নামে এক যুবক জানান, টাকার টুকরোগুলো জ্বালানির কাজে ব্যবহার করবেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button