খেলাধুলা

বিসিবি’র কাছে সাকিব-মুশফিকদের ১১দফা দাবী

বিভিন্ন দাবি নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলন করছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সামনে আসেন মুশফিক, সাকিব, তামিম সহ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা অনেক ক্রিকেটাররা। দাবি না মানলে সকল ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলেছেন তাঁরা, খেলবেন না জাতীয় লিগেও।

প্রথমে ২৭ টি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির মালিক নাইম ইসলাম কথা বলেন। তিনি জানান ক্রিকেটাররা নির্ধারণ করবেন কোয়াবের দায়িত্বভার কাদের কাঁধে থাকবে। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানান দাবি। তিনি বলেন প্রিমিয়ার লিগ আগে যেমন ছিলো সেভাবে যেনো হয়। পারিশ্রমিকের মানদণ্ড বেধে দেওয়া ও বিভিন্ন লিমিটেশন দিয়ে দেওয়াটা মানছেন না কেউই।

মুশফিকুর রহিম তৃতীয় দাবি হিসাবে বলেন আগের নিয়মে বিপিএল করতে হবে। লোকাল ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে বিদেশী ক্রিকেটারদের মানদণ্ড বিবেচনায় এনে। তিনি বলেন বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে প্লেয়াররা নিজে নিজের ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে পারে। বিপিএলেও তেমন করতে হবে।

সাকিব আল হাসান চতুর্থ দাবিতে বলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্য্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন ৫০ শতাংশ বাড়াতে হবে। ১২ মাস কোচ, ট্রেইনার ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে। আগামী মৌসুমের আগেই এটা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। এবং এটা সব বিভাগে আলাদা আলাদা হতে হবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মানসম্মত বল দিতে হবে। ডেইলি অ্যালাওয়েন্স ১৫০০ টাকাতে সন্তুষ্ট নয় ক্রিকেটাররা। সেটা বাড়ানোর দাবি করেছেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের যাতায়তের ক্ষেত্রে প্লেন ফেয়ার দাবি করা হয়েছে। হোটেলে জিম ও সুইমিংপুল নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ক্রিকেটাররা যে বাসে যায় সেটা ভালো মানের করার দাবি।

এরপর কথা বলেন এনামুল হক জুনিয়র। তিনি বলেন, জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দলের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক কম উল্লেখ করে তিনি চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ৩০ করার দাবি রাখেন। তিন বছর ধরে বেতন বাড়ানো হয়না উল্লেখ করে তিনি বেতন বাড়ানোর দাবি করেন।

তামিম ইকবাল কথা বলতে এসে বলেন, ক্রিকেটারদের সম্মানই শুধু নয়, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার সম্মান দিতে হবে। সারাদিন কাজ করে যাওয়া গ্রাউন্ডসম্যানরা মাস শেষে ৫০০০ এর মতো টাকা পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন তাঁদের মুজুরি বাড়াতে হবে। দাবিতে তিনি বলেন, স্থানীয় কোচদের সম্মানী বাড়াতে হবে। আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য যথাযথ সম্মানী দিতে হবে। ফিজিও, ট্রেইনারদের ক্ষেত্রেও একই দাবি তার। সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশিদের মূল্যায়ন করার কথা আসে তার দাবিতে।

এনামুল হক বিজয় বলেন, ঘরোয়া লিগে বাংলাদেশে দুইটি টুর্নামেন্ট বিসিএল ও এনসিএল। সেক্ষেত্রে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলা হয় একটি টুর্নামেন্ট- ডিপিএল। সেখানে আরেকটা টুর্নামেন্ট বাড়ানোর দাবি জানান তিনি ক্রিকেটারদের পক্ষে। বিপিএলের আগ দিয়ে একটা স্থানীয় টি-টোয়ন্টি লিগ করারও দাবি উঠে আসে।

ক্রিকেটারদের পক্ষে দাবি জানাতে এসে নুরুল হাসান সোহান বলেন, ডমেস্টিক টুর্নামেন্টের জন্য একটা ফিক্সড ক্যালেন্ডার থাকতে হবে। আগে থেকে প্রস্তুত হবার জন্য এটি জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জুনায়েদ সিদ্দিকী ১০ নম্বর পয়েন্ট নিয়ে হাজির হন। তিনি বলেন, প্রিমিয়ার লিগের যে বকেয়া টাকা তা সময়মতো যেনো পরিশোধ করা হয়। এর আগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্রিকেটাররা এখনও ৪০ শতাংশ টাকা পাননি। বোর্ডে অনেক বার যেয়ে, কোয়াবকে নক করেও সুফল পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

১১ নম্বর দাবি নিয়ে হাজির হওয়া ফরহাদ রেজা বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যে মাত্র দুইটি লিগে খেলার বিধান তা শিথিল করার ব্যাপারে। ন্যাশনাল ডিউটি পালন করার বাইরে ফাকা সময়ে যেনো তাঁরা খেলতে পারেন এই দাবি জানান তিনি।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button