এমপিও তালিকায় বগুড়ার ১৩ টি স্কুল/কলেজ অন্তর্ভুক্ত
দীর্ঘ ৯ বছর অপেক্ষার পর দেশের ২৭৩০ স্কুল-কলেজ এমপিও ভুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার গণভবনে এ তালিকা ঘোষণা করেন তিনি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি ও উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল।
২ হাজার ৭শ’ ৩০টি এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩৯টি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯৯৫টি মাধ্যামিক বিদ্যালহলোও য়, ৯৩টি কলেজ, ৫৬টি ডিগ্রী কলেজ, ৫৫৭টি মাদ্রাসা এবং ৫২২টি কারিগরি শিক্ষা ইনস্টিটিউশন রয়েছে।
এমপিও তালিকায় বগুড়ায় ১৩ টি স্কুল কলেজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এগুলো হলো-
বগুড়া সদর উপজেলার- (১)কম্পিউটার বিজ্ঞান এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,
(২)বগুড়া পৌর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বি এম কলেজ,
(৩) শহীদ জিয়াউর রহমান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।
ধুনট উপজেলায় (৪) কান্তনগর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, (৫)আনারপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, ও (৬)সাতটিকরী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বি এম কলেজ।
সোনাতলা উপজেলায় (৭)হরিখালি টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, ও (৮)আদর্শ টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজ।
(৯)সারিয়াকান্দি উপজেলায় চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজ।
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় (১০)দুপচাঁচিয়া টেকনিক্যাল কলেজ,
(১১)আদমদিঘী উপজেলায় হাজী তাসের আহমেদ মহিলা কলেজ।
শেরপুর উপজেলায় (১২)কল্যানী টেকনিক্যাল কলেজ।
এবং গাবতলি উপজেলায় (১৩)ফজিলা আজিজ মেমোরিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।
সব যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হলো তাদের এই যোগ্যতা ধরে রাখতে হবে।’ সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি। এমপিও নামে পরিচিত মান্থলি পে অর্ডার তালিকাভুক্ত হওয়া মানে প্রতিমাসে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাওয়া। তবে, এর জন্য এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পেতে হবে।
এর আগে গতকাল ২২ অক্টোবর, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য ক্রস চেক করা হয়েছে।
তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও কিছু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারও পাঠানো হয়েছে। সব সঠিকতা যাচাই করেই এমপিওভুক্তির ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। তবে একটু দেরি হলেও জুলাই মাস থেকেই এই এমপিওভুক্তি কার্যকর হবে। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়াসহ সব প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালা অনুযায়ী তাদের মান ধরে রাখতে হবে।
কোনো প্রতিষ্ঠান এতে ব্যর্থ হলে তাদের এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হবে। পুনরায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে আবারও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে। এমপিও পেয়ে গেছে ভেবে হাল ছেড়ে দিলে তারা বিপদে পড়বে।
হারুন অর রশিদ