বগুড়ায় অতীতের সব রে’কর্ড ছাড়িয়ে গেলো পেঁয়াজের দাম

এম আই নাফিস: পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সব রেকর্ড ভে’ঙ্গে গেল। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে আবারও খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ দর ১৫০ টাকায় ঠেকেছে পেঁয়াজ।বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও আম’দানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে।
সব ধরনের পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে। এর মধ্যে খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।এর আগের সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি। অ’পরদিকে মান ও আকার ভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।খুচরার পাশাপাশি পাইকারি বাজারেও দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। বগুড়ার মহাস্থান বাজারের পাইকারিতে দেশি ও ভারতীয় দুই ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকার কাছাকাছি। আর মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।
যদিও আম’দানি শুরুর পর দুই সপ্তাহ আগেও এ পেঁয়াজের দাম ছিল পাইকারিতে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ দেশি বলেই বিক্রি হয়।জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ভারত রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দিলে পেঁয়াজের বাজারে সংকট শুরু হয়। ওই সময় ৫০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে ৮০ টাকায় পৌঁছায়।অ’পর দিকে দুই সপ্তাহ পর ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে এ দেশের বাজারে হু-হু করে বাড়তে থাকে দর।
একদিনের ব্যবধানেই দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেয়াঁজ ১০০ টাকা কেজি ছাড়ায়। এ অবস্থায় পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক করতে ভারতের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমা’র, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আম’দানির উদ্যোগ নেওয়া হয়।খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সেখানে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না। মাঝে কয়েকদিন দাম কিছুটা কমা’র পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে।বিক্রেতারা বলছেন, দেশের পেঁয়াজের মজুদ প্রায় শেষের পথে। সরবরাহ সংকটেই দাম আবার বেড়েছে। তাই নতুন পেঁয়াজ এলেই বাজার স্বাভাবিক হবে। দুই মাসের আগে বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ ওঠছে না। তাই তার আগে দাম কমা’র সম্ভাবনা কম। তবে ভারতে ক্ষেতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। দেশটি রপ্তানি শুরু করলে আবারও দাম কমবে।
বিক্রেতারা বলছেন, দেশের পেঁয়াজের মজুদ প্রায় শেষের পথে। সরবরাহ সংকটেই দাম আবার বেড়েছে। তাই নতুন পেঁয়াজ এলেই বাজার স্বাভাবিক হবে। দুই মাসের আগে বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ ওঠছে না। তাই তার আগে দাম কমা’র সম্ভাবনা কম। তবে ভারতে ক্ষেতের পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। দেশটি রপ্তানি শুরু করলে আবারও দাম কমবে।