বগুড়ায় ড্রাগন ফল চাষে সফল রেজাউল করিম
হারুন-উর-রশিদঃ একটা সময় ছিলো যখন চাষাবাদ বলতে মানুষ শুধু ধান,গম,আলু কিংবা সাধারণ সবজি চাষ’ই বুঝতো।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে চাষাবাদের পদ্ধতিতে এসেছে আধুনিকতা। পুরো পৃথিবীতে চাষাবাদ বলতে এখন শুধুই খাদ্যবস্তু নয়। চাষাবাদ একটি শিল্প, একটি বিপ্লব।
বাংলাদেশে আধুনিক চাষাবাদ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। তেমনি একজন আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তেলকুপি গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম।
যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে লোভনীয় বেসরকারি চাকরি ছেড়ে উদ্যোগী হয়েছেন আধুনিক চাষাবাদে।
গড়ে তুলেছেন ড্রাগণ ফল ও মালটা বাগান। সাথে আছে পেঁপে সহ আরো অনেক ফসল।
প্রথমে ২৬ শতাংশ এবং পরে ৬০ শতাংশ জমিতে ড্রাগণ ফলের চাষ করে শুধু পরিচর্যার মাধ্যমে আশানুরূপ ফল পেয়ে সাফল্যে দিন গুনছেন বগুড়ার গাবতলির এই কৃষক।
ড্রাগন চাষে মাটি উপযোগী হওয়ায় তিনি মৌসুমের ৭-৮ মাসে ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেন। সেগুলো তিনি বগুড়া সহ বিভিন্ন বাজারে পাইকারী ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এমন কি বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ী ফল পরিপক্ব হওয়ার পূর্বেই অর্ডার দিয়ে যায়।
এছাড়া ৫৫ শতাংশ জমিতে তার কমলা ও মালটা চাষ করেন। এবছর কমলা ও মালটা বিক্রি করেন ৪ লক্ষ টাকা।
পাশাপাশি ৪০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করেন। সেখান থেকে রবি মৌসুমে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করেন
ড্রাগন,মালটা,কমলা ফলের বাগান ও সবজি বাগান গড়ে তোলায় আগ্রহী হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে যুবকরা লেখাপড়ার পর চাকরি না পেলে বসে বসে বেকার সময় পার করে। কৃষিকাজ করতে তারা লজ্জাবোধ করে।
নিঃসন্দেহে ড্রাগন চাষ শৌখিন কৃষিকাজ ও লাভজনক ব্যবসা।
বেকারদের উদ্দেশ্যে রেজাউল করিম বলেন, আমার বাগান দেখে বেকার যুবকদের ড্রাগন চাষে আগ্রহী হলে আমি উপকৃত হবো।
সহযোগিতায়ঃ মাহিনুর রহমান সাগর