বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করে গেলেন মন্ত্রী
বুধবার (২৫শে ডিসেম্বর) বগুড়ার তিন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স গুলো হলো বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা কারবালা এলাকায়, আদমদীঘি ও গাবতলী উপজেলায়।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনের পর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১৫ হাজার টাকা করা হবে। ২০২০ সালে প্রথম পর্যায়ে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে এক হাজার বর্গফুটের বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। একই ডিজাইনের প্রতিটি বাড়ির জন্য ব্যয় হবে ১৬ লাখ টাকা। পরের বছর সমপরিমাণ বাড়ি দেয়া হবে।
তারমধ্যে বগুড়ার মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫০টি বাড়ি পাবেন। তবে যারা বিনা সুদে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিবেন তারা বাড়ি পাবেন না। তিনি আরো বলেন, বগুড়ার তালিকায় কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া বীরাঙ্গনা থাকলে যাচাইয়ের মাধ্যমে তা বাতিল করা হবে।
১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে জানুয়ারিতে অবশ্যই দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি যানবাহনে ফ্রি চলাচল করতে পারবেন। সরকারি খরচে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার কবর একই নকশায় পাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।এছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোতে টাকা জমা দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে ফ্রি চিকিৎসা পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম জানে না পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশের মানুষের ওপর কী নির্যাতন করেছিল। পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য নেই।পাকহানাদার ও তাদের দোসর রাজাকারদের কথাও লেখা হবে। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম বুঝতে পারবে কার কেমন ভূমিকা ছিল।