কাহালু উপজেলা

বগুড়ার কাহালুতে ভূমিদস্যুদের দখলে নাগর নদী

ফাহিম আহম্মেদ রিয়াদ (কাহালু প্রতিনিধি) কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের মদনাই গ্রামকে কতিপয় ভূমি দুস্যরা হুমকির মুখে ফেলেছে। মদনাই গ্রামের আশে পাশে ক্রমান্বয়ে বেশ কিছু ইট ভাটা গড়ে উঠেছে। প্রভাবশালী এই ইট ভাটামালিকরা ভূমি মালিক কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভিতি প্রদর্শন সহ বিভিন্ন কৌশলে তাদের প্রয়োজনে তারা নাগরনদী সংলগ্ন জমির মাটি ক্রয় করেন। এ জমি ক্রয় বিক্রয় কোন কবলা দলিলে বা কোন লিখিত চুক্তি নয়, মৌখিক ভাবে। কয়েক বছর পূর্বে তাতে খননের চেস্টা করলে ভাটা মালিকরা মদনই গ্রাম বাসীর অনুরোধে থেমে যায়।

কিন্তু পরবর্তীতে বীরকেদার ইউনিয়নের বারমাইল এলাকায় অবস্থিত হোটেল গার্ডেন ভিউ এর স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম বুলুর নেতৃত্বে মদনাই গ্রামের সহ আশে পাশের বিশেষ করে দুপচাচিয়া এলাকার বেশ কিছু ভুমিদূস্য মেশিন দ্বারা নদীর বাঁধ সহ তাদের ক্রয়কৃত জমির মাটি খনন করে ভয়াবহ ভাবে গভীর করেছে যে কোন মুহুর্তে পাশের ফসলী জমি ধসে পরবে। অসহায় ভুমি মালিক কৃষক প্রভাবশালী ভুমি দূস্যদের প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে স্বল্প মূল্যে মৌখিক ভাবে উক্ত জমির মালিকানা স্বত্ত্ব ত্যাগ করছে।

এমনি ভাবে দিনে দিনে এক দিকে যেমন ফসলী জমি বিলীন হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃস্টি হচ্ছে। চার পাশের এলাকায় যে কোন সময় ভয়ানক বিপর্যায় ঘটতে পারে বলে মদনাই গ্রামবাসী মহা আতঙ্কে আছে।

শনিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভুমি খেকোদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা ইউএনওকে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় কথা ছড়িয়ে পড়লে ভুমিদূস্যরা ৪০-৫০টি মটর সাইকেল যোগে প্রায় ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী মদনাই গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখান এবং তাদের উপর চড়াও হবার চেষ্টা করলে গ্রামের নারী/পুরুষ মুখামুখী হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। যে কোন সময় ব্যাপক সংর্ঘষ হতে পারে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতির সম্ভববনা দেখা দেয়। তাৎক্ষনিক কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলামকে অবগত করলে, সঙ্গে সঙ্গে তিনি কাহালু থানার এস, আই মুকুল চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়।

থানা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে সন্ত্রাসী ভুমিদূস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বীরকেদার ইউ পি চেয়ারম্যান মো. ছেলিম উদ্দিন সহ এলাকার প্রায় সকল জনপ্রতিনিধি ও বিজ্ঞমহল জরুরী ভিত্তিতে এ সকল ভুমি দূস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃস্টি আর্কষণ করেন। এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান এর সাথে কথা বলা হলে তিনি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button