বগুড়ার ধুনটে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ধুনট প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনটে দোকান ঘর লুটপাট ও ভাংচুর সংক্রান্ত মামলা মিথ্যা তথ্য সম্বলিত ও বানোয়াট উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেন বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলাধীন নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিরাপাড়া গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিন ফকিরের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম ফকিরের ছেলে আব্দুস সবুরকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর গ্রামে সাধারন জনগনের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এরূপ অবস্থা চলাকালীন সময়ে একই গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামের দোকানে কে বা কাহারা ভাংচুর ও দোকানের মালামাল লুটপাট করে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫) তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ লুটপাটের ঘটনা সম্পর্কে আমি ও অন্যান্য বিবাদিগন অবগত নই। শুধুমাত্র সমাজে আমাদের সম্মানহানী ও নানাভাবে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে জেলা বগুড়ার সিনিঃ জুডিঃ ম্যাজিঃ ধুনট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২৫৮সি/১৯ (ধুনট)। উল্লেখ্য হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহত সবুরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ওই মামলার সাক্ষিগনকে শফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য আমাদের কে বেআইনী ভাবে হয়রানী ও সামাজিক ভাবে হেনস্থা করা। ১৭ ডিসেম্বার ২০১৯ শফিকুল ইসলাম কর্তৃক আদালতে দাখিলকৃত মামলায় আমিসহ একই গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিন ফকিরের ছেলে সোলায়মান আলী, মৃত মকবুল হোসেন ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলামের ছেলে আশরাফ আলী ও মৃত মোজাম্মেল ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলামকে আসামী করে। অসৎ উদ্দেশ্যে হয়রানী মূলক মিথ্যা তথ্য সম্বলিত মামলা দায়েরের তিব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে তথ্য যাচাই বাছাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি। কে বা কাহারা মামলার বাদি শফিকুল ইসলামের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে তার দায় আমাদের উপর চাপাতেই এ মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।
গনমাধ্যম কর্মীদের অবগত করছি যে, বাদি শফিকুল ইসলাম ও অন্য মামলার বাদি মর্জিনা খাতুন উভয়ই তাদের লোকজন দিয়ে আমাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। সংবাদ পত্রের মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহমান আরো বলেন মামলার অন্যান্য বিবাদিগনের সমর্থনে সোলায়মান আলী উপস্থিতিতে সংবাদ কর্মীদের অবগত করছি যে, নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের মর্জিনা খাতুন জওজে নুরুল ইসলাম ফকির বাদি হয়ে আমিসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে বাড়িতে লুটপাট সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে। মূলতঃ ইহাও আমাদের নানাভাবে হয়রানী ও সমাজে হেও করার লক্ষেই করা হয়েছে। এহেন মামলা দায়েরের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।