পেঁয়াজের রসেই গলবে কিডনির পাথর! জেনে নিন বিস্তারিত

পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করার কথা চিন্তাই করতে পারেন না নিশ্চয়! করবেনই বা কীভাবে, পেঁয়াজ ছাড়া খাবারের স্বাদও বাড়ে না। তাইতো নিত্যদিনের সুস্বাদু খাবারে পেঁয়াজ চাই ই চাই।
জানেন কি, পেঁয়াজ শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর রয়েছে অবাক করা অনেক পুষ্টিগুণও। প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের সঙ্গে এতে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা আমাদের শরীরে নানা উপকারে আসে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পেঁয়াজের গুণাগুণ সম্পর্কে-
কিডনি স্টোন গলাতে
পেয়াজের রসের সঙ্গে তালমিছরি মিশিয়ে খেতে থাকুন। কিছুদিনের মধ্যেই প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনি স্টোন বেরিয়ে আসবে। তালমিছরি কিডনির জন্য খুবই উপকারী।
সংক্রমণ সারায়
পেয়াজের মধ্যে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ মজুত রয়েছে। তাই শরীরে কোথাও সংক্রমণ হলে কাঁচা পেঁয়াজ একটু বেশি পরিমাণে খান। দেখবেন চটজলদি উপকার পাবেন।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
পেয়াজ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সালফার, ভিটামিন বি এবং সি থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
নাক থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে
অনেকেরই গ্রীষ্মে বা শীতে নাক থেকে রক্তপাত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। রক্তপাতের সময় তাড়াতাড়ি পেঁয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে থাকুন। রক্তপাত কমে যাবে। কিছু সময়ের পর একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
হজমশক্তি বাড়ায়
আমাদের মধ্যে অনেকেরই হজমে সমস্যা রয়েছে। এর থেকে রক্ষা পেতে রোজ একটু কাঁচা পেঁয়াজ খান। পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়।
ত্বকের সমস্যা মেটায়
পোকামাকড়ের কামড়, রোদে পোড়া ট্যান, ব্রণ-ফুস্কুরি এসব সমস্যায় ভুগছেন? সমাধান দেবে পেঁয়াজের রস। আক্রান্ত জায়গায় একটু পেঁয়াজের রস লাগিয়ে নিন। প্রথমে একটু কুটকুট করতে পারে, তবে দ্রুত কাজ করবে।
জ্বর-সর্দিতে অসাধারণ কাজ করে
ঠান্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি বা সামান্য গা ব্যথায় দারুণ কাজ করে পেঁয়াজ। সামান্য পেঁয়াজের রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খান। চটজলদি সেরে উঠবেন।
দেহের তাপমাত্র কমায়
জ্বর সারাতে পেঁয়াজ জাদুর মতো কাজ করে। দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পাতলা করে পেঁয়াজ কেটে নিন। এবার সেই কাটা পেঁয়াজ কপালে রাখুন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই তাপমাত্রা কমে যাবে।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে
ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ থেকেও মুক্তি দিতে সক্ষম পেঁয়াজ। এটি কোলন ক্যান্সারের মতো রোগের সঙ্গেও লড়তে সাহায্য করে।
হার্ট ও হাড় ভালো রাখে
পেঁয়াজ হাড়ের অ্যাথেরসক্লেরোসিস এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো কঠিন রোগের সঙ্গে লড়ে। সঙ্গে দেহের খারাপ কোলেস্ট্রল কমায়। যার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো
দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে পেঁয়াজ অত্যন্ত কার্যকরী। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তারা চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে রোজ পেঁয়াজ খান।