আমেরিকায় বগুড়ার মেয়ের ‘কড়াই কিচেন’ রেষ্টুরেন্ট
দেশের বাইরে গড়ে উঠেছে বৃহত্তর এক বাংলা। বহুজাতি ও সংস্কৃতির দেশ আমেরিকায় বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশি খাবারের নাম।
একসময় ভারতীয় খাবার (ইন্ডিয়ান ফুড) হিসেবে পশ্চিমের এ দেশে পরিচিতি পেত বাংলাদেশি খাবার। এখন বাংলাদেশের সেই খাবার পশ্চিমা মানুষের মধ্যেও নিজস্ব পরিচয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এর সবই হচ্ছে প্রবাসে জন্ম বা বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের হাত ধরে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বগুড়া জেলার মেয়ে আমেরিকায় বসবাসরত নুরে ফারহানা রহমানের উদ্যোগ এই খাবারের রেস্টুরেন্ট। সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেওয়া বক্তব্যে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ফারহানা জানালেন বাংলাদেশি খাবারের দোকানের প্রতীক হইয়ে উঠেছে জার্সি সিটির সামিট অ্যাভিনিউয়ের তাঁর ‘কড়াই কিচেন’।
পশ্চিমের অন্যান্য দেশের মতো আমেরিকায় ভারতীয় খাবারের পরিচয়ে ‘চিকেন টিক্কা মশল্লা’ পরিচিত হয়ে উঠে। একশ বছর ধরে আমেরিকায় উপমহাদেশীয় খাবারের পসরাগুলো বাংলাদেশি বা পাকিস্তানি রেস্টুরেন্টেও সাইন ঝুলাতে দেখা যায়, এখানে ভারতীয়, পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি খাবার পাওয়া যায়। খাদ্য বৈচিত্র্যে, স্বাদে ব্যাপক ফারাক থাকার পরও বাংলাদেশিরা দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় অর্ধশত বছর পরও পশ্চিমা বিশ্বে নিজেদের খাদ্য পরিচয়ে পরিচিতি অর্জন করতে পারেননি। এমনকি যুক্তরাজ্যের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় বাংলাদেশিদের আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও, জনপ্রিয় হলেও খাবারটি ভারতীয় খাবার নামে পরিচিত।
আমেরিকার বিখ্যাত জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ফারহানা রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের পূর্বসূরিরা নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে ভারতীয় রেস্টুরেন্টের নামে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অবস্থান নেওয়ার দুর্বার তাড়নাই ফারহানাকে ‘কড়াই কিচেন’ ব্যবসায় নামিয়েছে। ফারহানার মা নুরে গুলশান রহমানকে নিয়ে তাদের এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। ফারহানা তাদের রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি স্বকীয়তা দেখানোর জন্য #নোচিকেনটিক্কামশাল্লা হ্যাশট্যাগ দিয়ে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করছেন। নিউইয়র্ক নগরে যেসব তথাকথিত ‘ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট’ চালু আছে, তার সিংহভাগ পরিচালনা করেন অভিবাসী বাংলাদেশিরা
তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো