যেভাবে শনাক্ত করা হলো করোনা আক্রান্ত তিন রোগী
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া নভেল করোনা ভাইরাসের তিন রোগী শনাক্ত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ইতালি ফেরত এবং একজন দেশে ছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন। আক্রান্তদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছর। এদের মধ্যে দু’জন আবার একই পরিবারের। এদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তবে দেশে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিললেও এখনই এটা নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এছাড়া এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলেও মনে করছে সরকারের এই প্রতিষ্ঠান।
রবিবার বিকালে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা দেশে তিনজন করোনায় আক্রান্ত বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ইতালির দুটি শহর থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। দেশে আসার পর তাদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন দিলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীাগারে পাঠানো হয়। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া আছে। প্রয়োজন না হলে জনসমাগমে যাওয়ার দরকার নেই। সবার মাস্ক পড়ে ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজন নেই।’
আইইডিসিআরের পরিচালক জানান, ইতালি ফেরত এই দুজনের সংস্পর্শে থাকা আরও চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। তদের মধ্যে একজন নারীর শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা বর্তমানে ভালো আছেন। এ মুহূর্তেই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম নিউমোনিয়াসদৃশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর একে একে ১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগী সন্ধান মিলেছে।
ইতালি থেকে পুরো ইউরোপ এবং আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানে এ ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চীনসহ বিভিন্ন দেশে এরইমধ্যে তিন হাজার ছয়শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে।