বগুড়ার ধুনটে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের পত্রিকা বিক্রি বন্ধ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় ও স্থানীয়সহ সব ধরনের পত্রিকা বিক্রি বন্ধ করেছেন এজেন্ট ও হকাররা। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে পাঠকরা আর কোনো ছাপা পত্রিকা পড়তে পারছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পত্রিকা বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় জাতীয় ও স্থানীয়সহ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২ হাজার পত্রিকা বিক্রি হয়। এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় গুলোতে এসব পত্রিকা বিক্রয় কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ২ জন পাইকারী বিক্রেতা (এজেন্ট) রয়েছেন।
এ বিষয়ে পত্রিকার এজেন্ট সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, ঢাকা থেকে গাড়িতে সংবাদপত্র আনা এবং তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিলি করার সঙ্গে যুক্তরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। একারনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সংবাদপত্র বিলি-বণ্টন ও বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, এ উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরের অধিকাংশ বাসায় ভাড়াটিয়াও নেই। ফলে পত্রিকা বিক্রিও হচ্ছে না। যে গ্রাহকরা রয়েছেন, তারাও বাইরে থেকে কাগজ কিনে নিতে চাইছেন না। আবার আমরাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে পত্রিকা দিতে ঝুঁকি অনুভব করছি। সবমিলিয়ে পত্রিকা বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে নিতে বাধ্য হয়েছি।
আব্দুল মোমিন নামে এক পত্রিকার গ্রাহক বলেন, এখন সংবাদপত্রের খুব বেশি প্রয়োজনও নেই। একেবারে পৌঢ় বয়সে উপনীত হওয়া একটি প্রজন্ম ব্যতীত সকলেই আমরা অনলাইনে অভ্যস্ত। তাৎক্ষণিক খবর পাচ্ছি। পরদিন একই খবর পত্রিকার পাতায় পড়তেও ভালো লাগে না। তার ওপর করোনা বহন করে ঘরে ঢুকতেও পারে পত্রিকা। তাই বন্ধ করে দেওয়াটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল কাজ করেছেন।